ইসলামাবাদ: বুধবার (২৫ মে), সন্ত্রাসবাদে তহবিল যোগানের মামলায় ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দিল্লির এক বিশেষ এনআইএ আদালত। শাস্তি ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ টুইট করে বলেছেন, ‘আজ ভারতীয় গণতন্ত্র এবং বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি কালো দিন। ইয়াসিন মালিককে ভারত শারীরিকভাবে বন্দী করতে পারে, কিন্তু তাঁর স্বাধীনতার ভাবনাকে কখনই বন্দী করতে পারবে না’। তিনি আরও দাবি করেছেন, ইয়াসিন মালিকের সাজা প্রাপ্তি কাশ্মীরিদের স্বাধিকার অর্জনের লড়াইয়ে নতুন করে প্রেরণা যোগাবে। বস্তুত, শুধু পাক প্রধানমন্ত্রীই নন, ইয়াসিন মালিকের সাজা নিয়ে ইতিমধ্যেই একের পর এক মন্তব্য করেছেন। পাকিস্তানি রাজনৈতিক নেতা ও ক্রিকেটাররা।
Today is a black day for Indian democracy & its justice system. India can imprison Yasin Malik physically but it can never imprison idea of freedom he symbolises. Life imprisonment for valiant freedom fighter will provide fresh impetus to Kashmiris’ right to self-determination.
— Shehbaz Sharif (@CMShehbaz) May 25, 2022
শাহবাজ শরিফের এই টুইটের আগেই প্রাক্তন পাক হাইকমিশনার আবদুল বাসিত ও পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদিও এই বিষয়ে টুইট করেছিলেন। আবদুল বাসিত টুইট করে বলেন, ‘লজ্জাজনক, আইনি সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ভারতের ক্যাঙ্গারু কোর্ট। মোদী নিজেকে ফ্যাসিবাদীতে পরিণত করার আগেই বিশ্বকে ভারতের সামনে উঠে দাঁড়াতে হবে’। টুইটে আফ্রিদি লেখেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যে আওয়াজ উঠছে ভারত সেই কণ্ঠগুলিকে দমন করার চেষ্টা করছে।
গত সোমবারই ইয়াসিন মালিকের সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। জম্মু ও কাশ্মীরে ‘রাজনৈতিক বন্দিদের’ সঙ্গে ভারত দুর্ব্যবহার করছে, এই দাবি করে তিনি বিশ্বের নজর কাড়ার চেষ্টা করেছিলেন। টুইটারে শাহবাজ লিখেছিলেন, ‘বিশ্বের উচিত জম্মু ও কাশ্মীরে রাজনৈতিক বন্দিদের সঙ্গে ভারত সরকারের দুর্ব্যবহারের বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত বিশ্বের। ভুয়ো সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে বিশিষ্ট কাশ্মীরি নেতা ইয়াসিন মালিককে দোষী সাব্যস্ত করা আসলে ভারতের নির্লজ্জ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনাকারীদের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ করার নিরর্থক প্রচেষ্টা। মোদি সরকারকে অবশ্যই এর জবাবদিহি করতে হবে’।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে এদিন দুটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং ইউএপিএ-র আওতায় সন্ত্রাসবাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের অভিযোগে বিশেষ এনআইএ আদালত এই সাজা দিয়েছে। দুটি মামলায় যাবজ্জীবনের সাজা-সহ আরও পাঁচটি মামলায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, এই সবকটি সাজা একসঙ্গেই চলবে। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কারাগারেই কাটাতে হবে তৌমর ইয়াসিন মালিককে। পাকিস্তাvsর এই প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।