নয়া দিল্লি : করোনা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রথম, দ্বিতীয়ের পর এবার আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে ব্যাপক। পরিস্থিতি সামলে উঠতে না উঠতেই ফের জারি হচ্ছে লকডাউন বা কড়া বিধি নিষেধ। স্বাভাবিক ভাবে একাংশের মানুষ আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই এবার বাজেটে সে সব দিকের কথা মাথায় রাখা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সব সেক্টরের মতো ম্যানুফ্যাকচারিং- এর ক্ষেত্রে বা পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রেও নেওয়া হতে পারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও উদ্যোগ না নেওয়া হলে সমস্যায় পড়তে পারেন ওই সব সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। সরকার ইতিমধ্যেই যে বিবাদ সে বিশ্বাস স্কিম এনেছে তাতে উপকৃত হয়েছেন এই সব সেক্টরের মানুষজন। অনেক ক্ষেত্রে মমালা চলার কারে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের। তাদের সুবিধার্থেই সরকারের এই স্কিম। এর ফলে আর্থিক ভাবে মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুন : Budget 2022: বাড়ি তৈরি বা কেনার চিন্তাভাবনা করছেন? বাজেট অবধি অপেক্ষা করলে পেতে পারেন বিশেষ ছাড়
কাস্টম বা শুল্ক বিভাগের ক্ষেত্রে যে সব মামলা হয়, তার থেকে দ্রুত অব্যাহতি পাওয়ার জন্য বাজেটে কোনও ঘোষণা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বীমার ক্ষেত্রে যাতে করের বোঝা কমানো হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফ থেকে। এ ছাড়া, ২০৩০-এর মধ্যে ভারতে পণ্য উৎপাদনে বিশ্ব মানের হাব তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। তাই এই সেক্টরের জন্য বিশেষ প্রত্যাশা রয়েছে। দেশজ উৎপাদবে উৎসাহ দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রেও। তৈরি হতে পারে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ।
আরও পড়ুন : Budget 2022 : দেশের প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন বিদেশী অর্থনীতিবিদ, ফিরে দেখা ১৬২ বছরের বাজেট ইতিহাস