Budget 2022: বাড়ি তৈরি বা কেনার চিন্তাভাবনা করছেন? বাজেট অবধি অপেক্ষা করলে পেতে পারেন বিশেষ ছাড়

Real Estate & Housing Sector: নির্মাণকারীরা বিগত কয়েক বছর ধরেই করের বোঝা হ্রাস করার জন্য ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের দাবি করছে।

Budget 2022: বাড়ি তৈরি বা কেনার চিন্তাভাবনা করছেন? বাজেট অবধি অপেক্ষা করলে পেতে পারেন বিশেষ ছাড়
নয়া বাজেটে কী বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে রিয়েল এস্টেট নিয়ে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2022 | 11:21 AM

নয়া দিল্লি: নতুন বছরে দেশের অর্থনীতিতে নতুন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে ওমিক্রন। করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের মুখেই পেশ হতে চলেছে আগামী অর্থবর্ষের বাজেট (Budget 2022)। দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি বা জিডিপি(GDP)-র একটি বড় অংশই আসে রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রের মাধ্য়মে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০-রও বেশি শিল্পক্ষেত্র প্রভাবিত হয় এই রিয়েল এস্টেটের দ্বারা। তবে করোনা সংক্রমণের জেরে বাকি শিল্প ক্ষেত্রের মতো রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্র(Real Estate Industries)-ও ব্যপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য সরকারের সহযোগিতা সত্ত্বেও এই ক্ষেত্রকে আগের মতো ঘুরে দাঁড়াতে ক্রমাগত সাহায্যের প্রয়োজন। সেই কারণেই আসন্ন বাজেট থেকে একাধিক বিষয় আশা করছে রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্র।

নির্মাণের খরচ বৃদ্ধি ও চাহিদা হ্রাস:

নির্মাণকারীরা বিগত কয়েক বছর ধরেই করের বোঝা হ্রাস করার জন্য ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিটের দাবি করছে । বর্তমানে নির্মীয়মাণ বাড়িগুলি ৫ শতাংশ জিএসটির আওতায় পড়ে, অন্যদিকে, বাজেট হাউসিংগুলিকে ১ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। এছাড়া নির্মাণকাজে ব্যবহৃত সিমেন্ট ও স্টিলের উপর যথাক্রমে ২৮ শতাংশ ও ১৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। যেহেতু কাঁচামালের জিএসটির উপর ট্য়াক্স ক্রেডিট দাবি করা যায় না, সেই কারণে সরাসরি বাড়ির দামে এর প্রভাব পড়ছে। নির্মাতাদের দাবি, যদি রিয়েল এস্টেটে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট যোগ করা হয়, তবে নতুন বাড়ি তৈরি ও কেনার চাহিদাও বাড়তে পারে।

রিটেল ও হসপিটালিটি ক্ষেত্র:

কেবলমাত্র রিয়েল এস্টেটই নয়, হসপিটালিটি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত স্টেকহোল্ডাররাও করের উপর ছাড়ের দাবি করেছেন। করোনাকালে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উপর ব্যপক চাপের কথা উল্লেখ করে তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের মেয়াদ যেন ২০২৪ সাল অবধি বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং করের উপর ১০০ শতাংশই ছাড় দেওয়া হয়।

বাড়ি ক্রেতাদের উপর করের বোঝা:

বর্তমানে আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী, গৃহ ঋণের উপর করে কোনও প্রকার ছাড় বা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না। এরফলে করদাতাদের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চেপে যায়। তার প্রভাব বাড়ি তৈরি বা কেনার সিদ্ধান্তের উপরও পড়ে। যদি গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে করের উপর কিছু ছাড় দেওয়া হয়, তবে ঋণ গ্রহীতাদের সিদ্ধান্তেও তার প্রভাব পড়তে পারে বলেই দাবি।

গৃহ ঋণে করের ছাড় বৃদ্ধি:

আয়কর আইনের ২৪ ধারা অনুযায়ী, গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা অবধি লাভের সুবিধা পাওয়া যায়। এই অর্থের পরিমাণ যদি আরও কিছুটা বাড়ানো হয়, তবে বাড়ি কেনার সাধ্য ও বিক্রয়ও বৃদ্ধি পাবে। রিয়েল এস্টেট কর্মী ও নির্মাতাদের দাবি, আগামী বাজেটে এই ছাড় যেন বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: Budget 2022: কর্মহীন দেশের ৫০ শতাংশ! নতুন বাজেটে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে সরকার?