নয়া দিল্লি: সম্ভবত ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ বাজেট (Budget 2022) পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বাজেটকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে প্রত্যাশা বাড়ছে। এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে সরকারের অগ্রারাধিকার দেওয়া উচিৎ বলেই মনে করা হচ্ছে। জনসাধারণের জন্য এই খাতে মোট জিডিপি ৩ শতাংশ ব্যয় করার কথাও শোনা যাচ্ছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে দেশের প্রথমসারির স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির মতে সরকারের করে ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি ছোট শহরগুলিতে চিকিৎসা সুবিধার মানোন্নয়ন এবং কর্মশক্তির দক্ষতা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি করার ওপর জোর দেওয়া উচিৎ।
“২০২১ সালের বাজেটে সরকার সঠিকভাবেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রথম ছয় স্তম্ভের মধ্যে রেখেছিল। ২০২২ সালের বাজেটও এই বিষয়ের ওপর বাড়তি নজর দেওয়া হবে বলেই মনে হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নকে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিভিন্ন ছোট শহরে ডায়াগনসিস সেন্টার, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার পরিষেবা ও অক্সিজেন প্ল্যান্টের ব্যবস্থা করতে হবে।” জানিয়েছেন ফর্টিস হেলথকেয়ারের এমডি এবং সিইও আশুতোষ রঘুবংশী।
অ্যাপোলো হসপিটাল গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারপার্সন পৃথা রেড্ডি জানিয়েছেন, জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য খাতে মোট জিডিপির ৩ শতাংশ ব্যয় করা উচিৎ সরকারের। এই পদক্ষেপ বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরও বেশি পরিমাণ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে বলেই মনে করেন পৃথা। পাশাপাশি এরফলে বিভিন্ন অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব আরও বাড়বে। “স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি করতে এই পদক্ষেপ গুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আগের চেয়ে অনেক বেশি, এই সময়ে, ভারতের জনগণ কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-২৩-এর দিকে তাকিয়ে আছে যাতে সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য লালন করা এবং সর্বদা সর্বোত্তম শ্রেণীর স্বাস্থ্যসেবা পেতে সক্ষম হওয়ার জন্য একটি রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।” বলেন পৃথা।
এশিয়া হেলথকেয়ার হোল্ডিংস এক্সিকিউটিভের চেয়ারম্যান বিশাল বালি বলেন করোনার বিভিন্ন ঢেউ দেশের সরবরাহের ঘাটতির কথা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। “২০২২ সালের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বর্ধিত বরাদ্দের উপর দৃষ্টি দিতে হবে পাশাপাশি দ্রুত ঘাটতি পূরণ করতে হবে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্যের ব্যয়ের জন্য জরুরি সংস্কার প্রয়োজন এবং প্রকৃত অর্থে জিডিপির ২.৫ শতাংশ বরাদ্দ করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কিম এবং বিভাগে বরাদ্দ একত্রিতকরণের অধীনে নয়।”