নয়া দিল্লি : আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের তরফে বাজেট পেশ করা হবে। শিক্ষাক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এই আর্থিক বর্ষে শিক্ষা খাতে আরও বেশি ফোকাস করবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। গত বছর কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে ৬ শতাংশ বরাদ্দ কমানো হয়েছিল। চলতি আর্থিক বর্ষে শিক্ষা খাতে ৯৩,২২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। তার আগের বছর বরাদ্দ হয়েছিল ৯৯,৩১১ কোটি টাকা।
গত বছর শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ কমিয়ে দেওয়ার পর এই বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে সেই বরাদ্দ বাড়ানোর আশা করছেন শিক্ষা মহল। কানেক্টএড টেকনোলজির সহ প্রতিষ্ঠাতা লেহার তরে বলেছেন, “এই বছরের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থ ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে বলে আশা করছি। গত বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থ কমিয়ে দেওয়া হল। গত বছর স্বাস্থ্য পরিষেবা ও জরুরিকালীন পরিষেবার জন্য বেশি অর্থ বরাদ্দ করতে হয়েছিল।” অতিমারির প্রভাব শিক্ষা ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলেছে। সার্বিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থার উপর এতটাই প্রভাব পড়েছে যে প্রাইভেট সংস্থার পরিষেবার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। আগে, এই ধরনের ব্যবস্থাকে শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত পরিষেবার মধ্যে ধরা হত এবং
জিএসটি (GST) এর আওতায় ১৮ শতাংশ কর ধার্য করা হত এই পরিষেবার জন্য। কানেক্টএড টেকনোলজির সহ প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন,”আমরা চাই সরকার এই বছর এই করের দিকটি পুনর্মূল্যায়ণ করুক। এবং ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে তা ৫ শতাংশ করা হোক। এর ফলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ভারও কিছুটা কমবে। বিশেষত, যাঁরা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসেন।”
এডুভান্জ এর সিইও বরুণ চোপড়া বলেছেন, “গত বছরের বাজেট ঘোষণা ঋণ নেওয়ায় ক্ষেত্রে ন্যূনতম সীমা কমানো হয়েছিল। যার ফলে সংস্থা এবং ব্যক্তি উভয়েই উপকৃত হয়েছিল। আমরা আশা করি যে, এই বছরের বাজেটে নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলির জন্য ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা আমাদের এই প্রতিযোগিতামূলক ইকোসিস্টেমে নগদ বাড়াতে ও বজায় রাখতে সাহায্য করবে।” একটি এডুকেশন অ্যাপের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা মনিন্দর সিং বাজওয়া বলেছেন, “আমি আশা করছি যে এইবারের বাজেটে এডটেক সেক্টরের বিকাশের জন্য রেগুলেশন এবং কাঠামোর বিষয়ে ঘোষণা রয়েছে। এছাড়াও এডটেক ক্ষেত্রে স্টার্টআপ এবং ছোটখাটো উদ্যোগগুলির প্রতি সমর্থন বাড়ানো উচিত৷ গত কয়েক বছরে, আমরা সরকারি খাতে ই-লার্নিং-এর উপর সরকার ফোকাস বাড়িয়েছে তা দেখেছি। স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার অব্যাহত থাকায়, আমরা আশাবাদী যে সারা দেশে ই-লার্নিং প্রোগ্রামগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে। এটি ধীরে ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে ডিজিটাল বিভাজন দূর করার দীর্ঘ পথে এগিয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন : Budget 2022: ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কি বাড়বে? কতটা নির্মল হবে নির্মলার বাজেট…