Budget 2022: ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কি বাড়বে? কতটা নির্মল হবে নির্মলার বাজেট…

Nirmala Sitharaman : গ্রামীণ এলাকার একটি বড় অংশের মানুষ এখন আশায় রয়েছেন, হয়ত এবার বাজেটে আরও বাড়ানো হয়ে ১০০ দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ।

Budget 2022: ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কি বাড়বে? কতটা নির্মল হবে নির্মলার বাজেট...
কেন্দ্রীয় বাজেটে কতটা গুরুত্ব পাবে ১০০ দিনের কাজ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2022 | 9:29 PM

নয়া দিল্লি ও কলকাতা : বনগাঁ সংলগ্ন এক প্রত্যন্ত গ্রাসের বাসিন্দা সাব্বির আলি। বছর খানেক আগে, একটু বেশি লাভের আশায় গ্রামের আরও কয়েকজনের সঙ্গে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন ভিন রাজ্যে। শুরুটা ভালই কাটছিল। মাসে মাসে বাড়িতে টাকাও পাঠাত। কিন্তু তারপর এল রাক্ষুসে লকডাউন। বহু মানুষের কর্মসংস্থান গিলে খেল করোনা। সেই সময় কাজ হারিয়েছে সাব্বিরও। তারপর গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে সে। কার্যত বেকারই বসে রয়েছেন। কোনওরকমে সঞ্চয়ের টাকায় পেট চলছে। সরকার থেকে রেশনটা পাচ্ছেন বটে। কিন্তু বাকি খরচ! ভাবলেই মাথাটা বনবন করে ওঠে সাব্বিরের। সাব্বির একা নন, এমন আরও অনেকেই আছেন যাঁরা কাজ হারিয়ে কার্যত বেকার হয়ে বসে রয়েছেন। আর এখন, মোদী সরকার যখন আরও একটি কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2022) পেশ করার দোরগোড়ায়, তখন আবারও একরাশ প্রত্যাশা জমছে তাদের মনে। আশা, একশো দিনের কাজে (MGNREGA) যদি বরাদ্দটা একটু বাড়ে।

কেন্দ্রীয় বাজেট ঘিরে একরাশ প্রত্যাশা রয়েছে আম জনতার। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে যখন বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দেশের একটি বড় অংশের মানুষ কার্যত বেকার। সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি গ্রামীণ এলাকাগুলিতে। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে একটি অংশ চাষ বাসের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এর বাইরেও একটি অংশের মানুষ রয়েছেন, যাঁরা ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করতেন। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কাজ খুইয়ে আবার গ্রামে ফিরে এসেছেন। এদের একটি বড় অংশ এখন নির্ভর করে রয়েছে ১০০ দিনের কাজের উপর। মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট বা MGNREGA। এই প্রকল্পের আওতায় গ্রামীন এলাকায় বিভিন্ন নির্মাণকাজ বা অন্য কোনও কাজে দৈনিক শ্রমভিত্তিক মজুরি বা কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বর্তমান মহামারী পরিস্থিতি অনেক কর্মহীন মানুষেরই আয়ের প্রাথমিক উৎস হয়ে উঠেছে এই ১০০ দিনে কাজ।

ব্লুমবার্গ কুইন্টে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সরকারি হিসেব অনুযায়ী মনরেগা পোর্টালে পাওয়া তথ্যের বিচারে, চলতি আর্থিক বছরে (২০২১-২২ অর্থবর্ষ) প্রথম নয় মাসে ৬ কোটি ৬০ লাখ পরিবার এই প্রকল্পের অধীনে কাজ করেছেন। গত আর্থিক বছরে অর্থাৎ, ২০২০-২১ সালের আর্থিক বছরে এই পরিসংখ্যান ছিল ৭ কোটি ৫৫ লাখ পরিবার। তারও আগে, দেশে মহামারী হানা দেওয়ার আগে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে এই পরিসংখ্যান ছিল আরও ১ কোটি ১০ লাখ বেশি। অর্থাৎ, পরিসংখ্যান বলছে – বিগত কয়েক বছরে ১০০ দিনের কাজে সুবিধা পাওয়া পরিবারের সংখ্যা ক্রমে কমেছে।

মনরেগা প্রকল্পের পোর্টালে আরও উল্লেখ রয়েছে, প্রায় ৯ কোটি ৫০ লাখ মানুষ এখনও পর্যন্ত চলতি আর্থিক বছরে এই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের আওতায় কাজ করেছেন। এ ক্ষেত্রেও গত আর্থিক বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে পরিসংখ্যান। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ১০০ দিনের কাজ পেয়েছেন। যদিও মহামারীর আগের পরিস্থিতিতে এই সংখ্যাটা বেশ কম ছিল। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে এই পরিসংখ্যান ছিল ৭ কোটি ৯০ লাখ মানুষ।

উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজের কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ করা ৭৩ হাজার কোটি টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। পরে আরও ২২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এখন ফের একটি কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে কতটা প্রতিফলন দেখা যাবে এই ১০০ দিনের কাজের চাহিদার? গ্রামীণ এলাকার একটি বড় অংশের মানুষ এখন আশায় রয়েছেন, হয়ত এবার বাজেটে আরও বাড়ানো হয়ে ১০০ দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ।

আরও পড়ুন : LIC Adharshila Plan: দিনে ২৯ টাকা জমা করে ম্যাচিউরিটিতে ৪ লাখ! জেনে নিন এলআইসির এই পলিসি