Budget 2022: পরিস্থিতি কঠিন, তহবিল বৃদ্ধিতে ঋণ গ্রহণে পিছিয়ে থাকা উচিৎ নয় সরকারের

Budget 2022: উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হল কৃষি। এখানে মূল ইস্যু থাকে চাষী বা কৃষক। আমরা এমন একটি পরিস্থিতির প্রত্যক্ষ করছি যেখানে কৃষক/চাষিদের আয় অত্যন্ত কম।

Budget 2022: পরিস্থিতি কঠিন, তহবিল বৃদ্ধিতে ঋণ গ্রহণে পিছিয়ে থাকা উচিৎ নয় সরকারের
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2022 | 3:15 PM

আর কয়েকদিন পরই সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। তাই প্রত্যেকবারে মতো বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা চরমে। এখন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মুখোমুখি দেশ। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মধ্যবিত্ত দেশবাসীর অবস্থা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে গিয়েছে। আসন্ন বাজেটে ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কিসের ওপর বাড়িতে নজয় দিলে অনেকগুলি ক্ষেত্র লাভবান হবে? টিভি৯ বাংলার সঙ্গে মতামত ভাগ করে নিলেন তিরুবনন্তপুরম-ভিত্তিক গুলাটি ইনস্টিটিউট অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের অধ্যাপক এবং ডিরেক্টর কে জে জোসেফ।

করোনা মহামারি আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছেন। বিশ্বের বেশ কিছু অর্থনীতি এই সময়ে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যয় বরাদ্দ তিনি বাড়িয়েছেন। এই দেশগুলির জিডিপিতে তাদের জনগণের চাহিদা মেটাতে ঋণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, থাইল্যান্ডের মতো অর্থনীতিতে ঋণের পরিমাণ ১৪ শতাংশ বেড়েছে অন্যদিক জাপানে ঋণের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। জার্মানি ও ব্রিটেনের মতো অর্থনীতিতেও বেড়েছে এই ঋণ। অর্থনীতিবিদদের মতে মানুষের হাতে আরও বেশি পরিমাণ টাকা বৃদ্ধি কারণেই ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে রাষ্ট্রগুলি।

আমাদের নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ করা উচিত নয়। হ্যাঁ, সরকার নিজের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে তাদের মালিকানা হ্রাস করার কথা বলছে এবং তারা এই প্রক্রিয়ায় অর্থ উপার্জন করছে। কিন্তু এই সময়ে সরকারে বাড়তি ঋণ নিতে এবং জনগণের প্রয়োজনে তা ব্যয় করতে দ্বিধা করা উচিৎ নয়। এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের হাতে টাকার জোগান বজায় রাখা প্রয়োজন। এরফলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল কর্মসংস্থানের অভাব। মনরেগার মত প্রকল্প কারণে অনেক ক্ষেত্রে রেহাইও মিলছে। এর আগের বাজেটে দুর্ভাগ্যবশত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি তবে এবারে বাজেটে সেই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয়।

আমার মনে হয় আমাদের একটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে নিতে হবে যাতে অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষের যত্ন নেওয়া যায়। এই প্রকল্পের ফলে ৬০ বছর বেশি বয়সীদেরও সাহায্য করা সম্ভব হবে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি হারিয়েছে এমন লোকের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেশি হওয়ায় এই ধরনের একটি প্রকল্পের প্রয়োজন। আমার মনে হয় সংখ্যাটি ২০ থেকে ২৫ কোটি হওয়ার কথা ছিল তবে করোনার দুটি ঢেউয়ে কারণে সংখ্যাটা ৩০ থেকে ৩৫ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে।

উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হল কৃষি। এখানে মূল ইস্যু থাকে চাষী বা কৃষক। আমরা এমন একটি পরিস্থিতির প্রত্যক্ষ করছি যেখানে কৃষক/চাষিদের আয় অত্যন্ত কম। বর্তমান পরিস্থিতিতে পণ্যের জন্য একটি পারিশ্রমিক লাভ করতে অক্ষম। উপভোক্তার তুলনায় উৎপাদনকারীদের আয় ৩০ শতাংশও নয়। এই পরিস্থিতিতে পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন। প্রশ্ন হল এটা কিভাবে হবে? আমার মতে কৃষক সম্প্রদায়ের কম আয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের হাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার রয়েছে। আমরা সকলেই তথ্য প্রযুক্তিতে দারুণ উন্নতির সাক্ষী। দেশের উন্নয়নের জন্য আমাদের তথ্য প্রযুক্তিকেই ব্যবহার করতে হবে। আমাদের কাছে এখন অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা কৃষককে তার জিনিসপত্র বিক্রি করার সুবিধা দিতে পারে। তাই এই বিষয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। এই প্ল্যাটফর্মগুলি কৃষকদের উপস্থিতি তাদরে পণ্য আরও বিক্রি করতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন: Punjab Assembly Election: ক্ষমতা দখলের লড়াই শেষ হতে পারে! মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘোষণা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের 

আরও পড়ুন: Budget 2022: ওমিক্রন কাঁটায় বাতিল হালুয়া বিতরণ, মিষ্টিমুখ করেই ‘বন্দি’ হলেন কর্মীরা