ভারতীয়দের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা ছিল আগে থেকেই। আর করোনার পর থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে বিনিয়োগের প্রবণতা। কেউ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছে। আবার কেউ বিনিয়োগ করছে সোনায়। কিন্তু বিনিয়োগের মাধ্যমে ৭ বছরে ৩ গুণ হচ্ছে অর্থ, এমনটা জানেন কী?
অঙ্ক করে ব্যাপারটা বোঝা যেতে পারে। ধরা যাক কেউ সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপিতে বিনিয়োগ করছে। যদি সেই বিনিয়োগ সেনসেক্স বা নিফটি ৫০-তে করা হয় তাহলে তা থেকে বার্ষিক ১২ শতাংশ রিটার্ন আসতে পারে। অন্তত ঐতিহাসিক তথ্য তাই বলছে। এবার কেউ যদি মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে তাহলে বার্ষিক ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরলে দেখা যাবে ৭ বছরের শেষে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। আর রিটার্ন সমেত তা দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ১৫ হাজার টাকায়।
এই এসআইপি চালু রাখলে আরও ৪ বছর পর বিনিয়োগ হয় ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। আর সেই সঙ্গে মোট রিটার্ন হয় ৩২ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। অর্থাৎ, মাত্র ৪ বছরে দ্বিগুণ হল বিনিয়োগ।
১২ বছরের পর এই এসআইপি যদি কেউ চালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে আরও অনেকগুণ লাভের মুখ দেখবেন ওই ব্যক্তি। আরও ৩ বছর পর বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৮ লক্ষ টাকায়। কিন্তু মোট রিটার্নের পরিমাণ ছাপিয়ে যাবে ৫০ লক্ষ টাকাকেও। অর্থাৎ, ৮ বছরের মাথায় মোট রিটার্ন ছিল ১৬ লক্ষ। আর তার পরবর্তী ৭ বছরে সেই রিটার্ন সেই ১৬ লক্ষের ৩ গুণ বা ৪৮ লক্ষের চেয়েও অনেক বেশিতে পরিণত হয়েছে।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।