ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে আর্থিক স্বচ্ছলতার কোনও বিকল্প নেই। তবে কর্মজীবনে প্রবেশ করার পরে অনেকেই ‘পথ’ হারিয়ে ফেলেন। কীভাবে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করবেন এবং কীভাবে বিনিয়োগ করে নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করবেন, অনেকেই তা বুঝতে পারেন না। তবে সময় চলে যাওয়ার আগেই সঞ্চয় করতে হবে। সঞ্চয় করা একটি অভ্যেসের মতো। এই অভ্যেস কীভাবে তৈরি করবেন? এই পাঁচটি কাজ করলেই আপনার ‘অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য’ ভাল থাকবে।
বাজেট তৈরি করে সেই অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন – বাজেট শুধু দেশের নয়, সংসার, এমনকী ব্যক্তিগত পর্যায়েও হতে পারে। কোন খাতে কত খরচ করবেন, তা আগে থেকে ঠিক করে রাখলে বাজে খরচ করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন আপনি। অর্থ ব্যয়ে হঠকারিতা রোধ করতে পারলে আপনার অনেক টাকা বাঁচবে। ভবিষ্যতের জন্য তা লাভজনক হবে। বিদ্যুৎ, গ্যাসের মতো বিলের জন্য টাকা আলাদা করে রাখুন। নিজের ব্যক্তিগত খরচের জন্যও কিছু টাকা সরিয়ে রাখুন। বাকি টাকা কোথাও সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করার কথা ভাবুন।
টাকা সঞ্চয় করুন – বাজেট করার পাশাপাশি আপনাকে টাকা বাঁচানোর পরামর্শ ছোট্ট করে ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে, কত টাকা সঞ্চয় করা যায়? যদি সম্ভব হয়, তবে প্রতি মাসে নিজের উপার্জনের ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ টাকা সঞ্চয় করার চেষ্টা করুন। পরবর্তী কালে কোনও জরুরি প্রয়োজনে এই অর্থই আপনার কাজে লাগবে। এতে আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে।
ঋণ মিটিয়ে দিন – যত সম্ভব নিজের ঋণ মিটিয়ে দন। তা সে কোনও বন্ধুর থেকে নেওয়া ছোটখাটো ঋণ হোক কী কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণ। ঋণের বোঝা আপনার ভবিষ্যৎকে আঁধারে ভরিয়ে দিতে পারে। মাথার ওপর ঋণের বোঝা থাকার অর্থ, আপনার উপার্জিত টাকা আদতে আপনার নয়। তাই বোঝাহীন ঊজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ঋণ মেটাতে তৎপর হন।
বিনিয়োগ করুন – নিজের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিনিয়োগ করুন। তা সে শেয়ারে হোক কী কোনও দীর্ঘ মেয়াদী সঞ্চয় স্কিমে। যদি কোনও ঋণ ছাড়া নিজের বাড়িবা সম্পত্তি কিনতে চান, তাহলে এই বিনিয়োগ আপনার সঙ্গী। তাছাড়া বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করবে এই দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগগুলি। এতে আপনার সম্পদও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। এবং সঠিক সময়ে বিনিয়োগ করলে আপনার অর্থ আপনাআপনি বাড়তে থাকবে।
আর্থিক বিষয়ে শিক্ষিত হয়ে উঠুন – আয়কর থেকে শুরু করে বিভিন্ন আর্থিক বিষয়ে শিক্ষিত হয়ে উঠুন। শেয়ার বাজার হোক বা অন্যান্য ক্ষেত্র, আপনি যদি এই বিষয়গুলি বুঝে যান, তবে তা আপনার জন্য খুবই মঙ্গলময় হবে। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন উপায়ে আপনি আপনার অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। কোথায় বিনিয়োগ করলে আপনি সবথেকে বেশি রিটার্ন পাবেন। কারণ অন্য কারও পরামর্শে আপনার ক্ষতিও হতে পারে। নিজেরটা নিজে বুঝে নেওয়াই ভালো।