AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Milk Business: দুধের ব্যবসাতেই মালামাল, ক্লায়েন্টদের কাছে ১ লিটার দুধ ৭০০০ টাকায় বেচেন সোলাঙ্কি

Milk Business: গুজরাটের পাটানের বাসিন্দা সোলাঙ্কি তাঁর গ্রামে এই ব্যবসা চালু করেছেন। এখন সেই ব্যবসায় দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ক্লায়েন্টদের কাছে দুধ বেচে মাসে ২-৩ লাখ টাকা আয় করছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই উদ্ভট ভাবনা মাথায় এল তাঁর?

Milk Business: দুধের ব্যবসাতেই মালামাল, ক্লায়েন্টদের কাছে ১ লিটার দুধ ৭০০০ টাকায় বেচেন সোলাঙ্কি
প্রতীকী ছবিImage Credit: Twitter
| Updated on: Apr 21, 2024 | 10:36 PM
Share

আহমেদাবাদ: গরুর দুধ, মোষের দুধ এমনকী ছাগলের দুধের কথাও শুনেছেন। কিন্তু কখনও গাধার দুধের কথা শুনেছেন? একবার গাধার দুধের ব্যবসা শুরু করলে কিন্তু ঘরে লক্ষ্মীলাভের সম্ভাবনা প্রবল। চোখের সামনেই রয়েছে জ্বলন্ত উদাহরণ। গুজরাটের বাসিন্দা এক ব্যক্তি গাধার দুধের ব্যবসা করে মাসে ২-৩ লাখ টাকা করে কামাচ্ছেন। গাধা তো কী হয়েছে! বাণিজ্যিক বাজারে তার প্রতিদ্বন্দ্বী যারা রয়েছে, তাদের থেকে গাধার দুধের দাম প্রায় ৭০ গুণ বেশি।

গুজরাটের পাটানের বাসিন্দা ধীরেন সোলাঙ্কি তাঁর গ্রামে একটি গাধার খামার চালু করেছেন। এখন সেই খামারে ৪২টি গাধা রয়েছে। দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ক্লায়েন্টদের কাছে গাধার দুধ বেচে মাসে ২-৩ লাখ টাকা আয় করছেন ধীরেনবাবু। লিটার পিছু হিসেবে এক লিটার গাধার দুধের দাম ওঠে ৫০০০-৭০০০ টাকা। যেখানে তাঁর গ্রামে গরুর দুধ বিক্রি হয় ৬৫ টাকা প্রতি লিটার দরে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই উদ্ভট ভাবনা মাথায় এল তাঁর? ধীরেন সোলাঙ্কি জানাচ্ছেন, প্রথম দিকে তিনি সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিছু বেসরকারি চাকরি পেলেও তাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। সেই সময়েই ধীরেনবাবু জানতে পারেন, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে গাধা প্রতিপালনের বিষয়ে। সেই মতো কিছু অভিজ্ঞ লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি এবং আজ থেকে প্রায় মাস আটেক আগে গ্রামে একটি খামার চালু করেন।

শুরুতে তাঁর খামারে ২০টি গাধা ছিল। ২২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে এই গাধার খামার চালু করেছিলেন সোলাঙ্কি। প্রথম দিকে ব্যবসা মোটেই খুব একটা মসৃণ ছিল না বলেই জানাচ্ছেন তিনি। কারণ তাঁর কথায়, গুজরাটে গাধার দুধের সেরকম চাহিদা ছিল না। ফলে প্রথম পাঁচ মাস কোনও লাভের মুখই দেখতে পাননি তিনি। তারপর ধীরে ধীরে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন তিনি, যেসব জায়গায় গাধার দুধের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে কর্নাটক ও কেরলে গাধার দুধ সাপ্লাই দেন তিনি। সোলাঙ্কি জানান, তাঁর ক্লায়েন্টদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কসমেটিক সংস্থা, যারা গাধার দুধের পণ্য তৈরি করে।