ঢাকা: আত্মনির্ভর হচ্ছে পড়শি দেশ বাংলাদেশ। ডিজিটালাইজ হচ্ছে ওপার বাংলা। এবার বাংলা ভাষাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল বাংলাদেশ। বাংলা ভাষাতে চালু হল ব্রাউজার (Browser)। মোবাইল, ল্যাপটপে বাংলায় চালু হয়েছে ব্রাউজার। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে তৈরি করা হয়েছে ব্রাউজার ‘তর্জনী’ (Tarjani)। বাংলাদেশের উদ্য়োগকে সাধুবাদ জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ডিজিটাল অর্থনীতির পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এই ব্রাউজার এনেছে। আগামী বছরই বাংলাদেশের নির্বাচন। তার আগে এই পদক্ষেপ অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারতের মতোই আত্মনির্ভরতার পথে হাঁটছে বাংলাদেশও। সরকারি কাজ ১০০ শতাংশ ডিজিটাইজ করতে চাইছে হাসিনা সরকার। আর পড়শি দেশকে ডিজিটাল ও স্মার্ট করে তুলতে সাহায্য করবে ভারত। বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে., ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে ফাইবার অপটিক কেবল বসানো হবে। এই কাজে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে ভারত। স্থির করা হয়েছে, আগামী ১২ মাসে বাংলাদেশের জন্য একগুচ্ছ ডেটা ও প্রসেস ডেন্টার তৈরি করবে টাটা কনসালটেন্সি সিস্টেম। আর অপটিক্যাল ফাইবার পাততে প্রযুক্তিগতভাবে সাহায্য করবে রিলায়েন্স জিও। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স পরিকাঠামো গড়তে সাহায্য করবে ভারতের স্টার্ট আপ সংস্থা হেপটিক।
একইসঙ্গে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি চালু করতে চাইছে শেখ হাসিনা প্রশাসন। কম্পিউটারের মাধ্যমে বাংলায় যাবতীয় পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার। এসবের মধ্যেই শেখ প্রশাসনের জন্য এল রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতি। বাংলায় ব্রাউজার চালুর জন্য হাসিনা সরকারকে সাধুবাদ জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ।
চলতি বছরের মার্চ মাসেই এই ব্রাউজারের উদ্বোধন করেছিল বাংলাদেশে। এই ব্রাউজার সম্পর্কে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনেদ আহমেদ বলেন, “৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েই আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে চালু করা হল বাংলায় মোবাইল ব্রাউজার তর্জনী। ডিজিটাল বাংলাদেশ ধীরে ধীরে স্মার্ট বাংলাদেশ হয়ে উঠছে। আমরা আত্মনির্ভর হয়ে উঠছি। স্বাবলম্বী বাংলাদেশের জন্যই এই ব্রাউজারটি চালু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম চালু করা হবে।”