নয়া দিল্লি: বিদেশের মতো ভারতেও আইফোনের (IPhone) জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। উচ্চ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত মানুষের প্রায় সকলের হাতেই রয়েছে আইফোন। মধ্য়বিত্ত মানুষেরাও ইএমআই-এ আইফোন কেনেন। আগে বিদেশ থেকে আমদানি করা হত অ্যাপেলের (Apple) এই ফোন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ভারতেও আইফোন উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২২ সাল থেকেই ভারতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বিশ্বে উৎপাদিত আইফোনের সাত শতাংশই তৈরি করা হয়েছে ভারতে। আগামিদিনে এই উৎপাদন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে টেক জায়ান্ট সংস্থার। কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিমের (Production Linked Incentive Scheme) অধীনে ভারতে উৎপাদন বাড়ানো হবে আইফোনের। আগামী ২০২৫ অর্থবর্ষের মধ্যে ভারতে আইফোন উৎপাদন বেড়ে ১৮ শতাংশে পৌঁছবে।
ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার ইন্ডিয়া রিসার্চের প্রধান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমিশ শাহ বলেন, “আমাদের বিশ্বাস মোবাইল ফোন তথা ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনে বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প হয়ে উঠতে পারে ভারত। ভারত যেভাবে আমদানি কমিয়ে, রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পিএলআই প্রকল্পের অধীনে আগামী ২০২৫ অর্থবর্ষের মধ্যে ১৮ শতাংশ উৎপাদন ভারতে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে অ্যাপেলের। ভারতে অ্যাপেলের পণ্য বিক্রয় বাড়াতে শেয়ারও বাড়তে পারে।”
বর্তমানে ভারতে মোট দুটি ডিরেক্ট রিটেল স্টোর রয়েছে। ভারতে অ্যাপেলের মার্কেট শেয়ার ৪ শতাংশ। যদি ভারতেই আইফোনের উৎপাদন জোরকদমে শুরু হয়, তবে দাম কমতে পারে আইফোনের। ২০২৫ অর্থবর্ষের মধ্যে বিশ্বে আইফোনের বিক্রিয় ৫ শতাংশ ভারত থেকেই হতে পারে, এমনই মত বাজার বিশেষজ্ঞদের।
মোবাইলের দাম নির্ভর করে তার উৎপাদন প্রক্রিয়া ও ব্যবহৃত পণ্যের উপরে। মোবাইল উৎপাদনে খরচের ৭০ শতাংশই তার ডিসপ্লে, মেমরি ও চিপ তৈরিতে খরচ হয়। যেহেতু উন্নত মানের প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিদেশ থেকে সেই পণ্য আমদানি করা হয়, তাই আইফোনের দামও চড়া হয়। বিশ্বে সবথেকে বেশি আইফোন তৈরি হয় চিনে। আমেরিকার তুলনায় চিনে যেখানে প্রোডাকশন ভ্যালু ৩৮ শতাংশ, সেখানেই ভারতে প্রোডাকশন ভ্যালু মাত্র ১৮ শতাংশ।