কলকাতা: অঙ্কের জটিল গোলকধাঁধা হোক বা কম্পিউটারের জটিল প্রোগ্রামিং, কবিতা লেখা হোক বা গল্প, প্রতিবেদন লেখা হোক বা কলেজ প্রজেক্ট, ছবি আঁকা, ভিডিও এডিটিং, সবই হয়ে যাচ্ছে চোখের পলেকে। মানব মস্কিষ্ককে চাপে ফেলে সবই হয়ে যাচ্ছে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে। সৌজন্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence)। বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ChatGPT বা Google Bard এর মতো টুল। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে। এবার আশঙ্কার সুর শোনা গেল খোদ চ্যাটজিপিটির স্রষ্টা স্যাম অল্টম্যানের গলায়। এআই-র অগ্রগতিতে বহু মানুষ যে চাকরি হারাতে পারেন। সে আশঙ্কা করছেন তিনি নিজেও।
প্রসঙ্গত, একাধিক এআই টেকনোলজি বাজারে আসার পর থেকেই অনেকেই গেল গেল রব তুলেছিলেন। অনেক গবেষকই বলছিলেন, এবার হয়তো চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে। কিন্তু, বাস্তবে কী হতে চলেছে তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন অনেকেই। স্যাম অল্টম্যান কিন্তু মনে করছেন এই চিন্তা খুব একটা অমূলক নয়, যেভাবে টেকনোলজির অভিযোজনের সূত্র মেনে রোজই নিত্যনতুন আঙ্গিকে নিজেকে মেলে ধরছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তাতে চিন্তা অবশ্যই রয়েছে। ইতিমধ্যেই কন্টেন্ট রাইটিংয়ের দুনিয়ায় থাবা বসিয়েছে এআই। থাবা বসিয়েছে গ্রাফিক ডিজাইনিং, ভিডিয়ো এডিটিং, অ্যাকাউন্টিং, প্রোগ্রাইম সহ একাধিক পেশাগত ক্ষেত্রে।
এই এআই যাতে আগামীতে মানুষের কোনও বড় বিপদের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য ইতিমধ্যেই আবার ফোরাম গড়ার ভাবনা শুরু করে গিয়েছে গুগলের মতো একাধিক টেক জায়ান্ট। মানুষের সুকাজেই যাতে একে পুরোদস্তুর লাগানো যায় তা নিয়েও শুরু হয়েছে ভাবনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সমস্ত কাজ সত্যিকার অর্থেই সৃজনশীল, প্রয়োজন মানব ভাবনা, মানব মেধার সেখানে চিন্তার খুব একটা কারণ নেই। যেমন বিজ্ঞান, মেডিসিন, আইন, ব্যবসায়িক কৌশল নির্ধারনের মতো চাকরিগুলিতে ঝুঁকি অনেকটা কম। কারণ এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলি অদূর ভবিষ্যতেও এআই নয়, মানুষের হাতে থাকার সম্ভাবনাই প্রবল।