নয়া দিল্লি: মাথা ব্যথা হোক বা পেট ব্যথা বা গা-হাতে ব্যথা বা জ্বর, পায়খানা- আমরা সাধারণত ওষুধের দোকানে বলে ওষুধ কিনে খাই। কিন্তু, সেই দিন এবার শেষ হতে চলেছে! ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া আর মেডিক্যাল স্টোরগুলি গ্রাহকদের কাছে ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না। এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি সরকার (Delhi Government)। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যদি কোনও মেডিক্যাল স্টোরের মালিককে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করেন এবং ধরা পড়েন, তাহলে সেটা তার জন্য ভালো হবে না।
দিল্লি সরকার সূত্রে খবর, পেইন কিলার অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের অসুখের প্রবণতা বাড়ছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সেজন্যই দিল্লি সরকার পেইন কিলার সহ অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দিল্লি সরকারের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া মেডিক্যাল স্টোরগুলিতে অ্যাসপিরিন ও আইবুপ্রোফেনের মতো ওষুধ বিক্রি করা যাবে না।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতর রসায়নবিদদের ব্যথানাশক ওষুধের রেকর্ড রাখার পরামর্শ দিয়েছে। আবার ইদানিংকালে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য মানুষ সাধারণত আইবুপ্রোফেন এবং ডাইক্লোফেনাকের মতো ওষুধ খান। যার কারণে মানুষ পরবর্তীতে নানা সমস্যায় পড়তে শুরু করে। এদিকে, বর্ষাকালে ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। এই ধরনের রোগ খুব কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই খুচরো ওষুধ বিক্রেতাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবিলম্বে ওভার-দ্য-কাউন্টার বিক্রিতে অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন এবং ডিক্লোফেনাকের মতো ওষুধগুলি অন্তর্ভুক্ত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই ওষুধগুলি মজুত রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নিয়ম ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতর জানিয়েছে, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ বিক্রি করলে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অকারণে অতিরিক্ত এসব ওষুধ ব্যবহার করলে রক্তে প্লেটলেটের ঘাটতি দেখা দেয় বলেও সতর্ক করেছেন চিকিৎসকেরা।