নয়া দিল্লি: মার্চ মাস প্রায় শেষের পথে। এই মাসের মধ্যেই জমা দিতে হবে আয়কর (Income Tax)। যারা আয়করের সীমার মধ্যে পড়েন, তাদের বার্ষিক আয়ের হিসাব করে সেই অনুযায়ী আয়কর জমা দেন। আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই কর বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তবে কর বা়ঁচানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার, নাহলে আপনি চরম সমস্যায় পড়তে পারেন। আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তের ঝক্কি যাতে পোহাতে না হয়, তার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা (Income Tax Planning) করা উচিত। কর বাঁচানোর পরিকল্পনায় যদি আপনি একটিও ভুল করেন, তবে গোটা পরিকল্পনাটাই ভেস্তে যেতে পারে।
যদি আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় দেড় লক্ষ টাকা অবধি কর ছাড় পেতে চান, তবে তার জন্য আয়করের সঠিক পরিকল্পনা থাকা দরকার। নিজের মাসিক বা বার্ষিক খরচ কত, তা না জেনেই অনেকে বিনিয়োগ করেন। আর এখানেই তারা প্রথম ভুল করে ফেলেন। ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি কোনও ইন্সুরেন্স পলিসিতে বিনিয়োগ করেন, যার বার্ষিক প্রিমিয়াম ৫ লক্ষ টাকার বেশি, সেক্ষেত্রে আয়করের উপরে কেনও ছাড় পাবেন না তিনি। তাই বিনিয়োগ করে আপনি যদি আয়করে ছাড় পেতে চান, তবে আপনাকে এমন পলিসি বাছতে হবে যার প্রিমিয়াম ৫ লক্ষ টাকার কম হবে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আয়করে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে। এটাও অনেক বড় ভুল। এতে আপনার খরচ কমার বদলে কাঁধে ঋণের বোঝা আরও বাড়বে।
আয়কর পরিকল্পনার চাপ এড়াতে শেষ মুহূর্তের জন্য পরিকল্পনা ফেলে রাখবেন না। আপনি যদি মার্চ মাসের আগেই আয়কর ও কীভাবে সেখান থেকে ছাড় পাবেন, তার পরিকল্পনা করে রাখেন, তবে শেষ মুহূর্তে চাপের মুখে পড়তে হবে না।