Bengaluru Space-tech Startup: রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে মহাকাশ থেকে স্পষ্ট ছবি তুলবে এই স্যাটেলাইট, তৈরি করছে এই বেসরকারি সংস্থা!
GalaxEye, Space-Tech Startup: জানা গিয়েছে, এই স্যাটেলাইটের ওজন প্রায় ১৬০ কেজি। এটি ভারতের বৃহত্তম ব্যক্তিগতভাবে তৈরি স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটে লাগানো ক্যামেরা ১.৫ মিটার থেকে ১.৫ মিটার বর্গক্ষেত্রের স্পষ্ট ছবি তুলতে পারে।

এবার ইতিহাস তৈরির মুখে ভারত। ভারতের প্রাইভেট স্পেস টেক ইন্ডাস্ট্রি এবার এমন কিছু করতে চলেছে, যাতে গর্বিত হবে গোটা দেশ। বেঙ্গালুরুর স্টার্ট আপ ‘গ্যালাক্সআই’ (GalaxEye) ঘোষণা করেছে তাদের এক নতুন লক্ষ্য। যার নাম ‘মিশন দৃষ্টি’।
আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে লঞ্চ হবে এই মিশন। এই মিশনের অধীনে লঞ্চ হতে চলেছে বিশ্বের প্রথম মাল্টি-সেন্সর আর্থ অবজারভেশন (EO)স্যাটেলাইট। ইসরোর UR Rao Satellite Centre (URSC)-এ এই স্যাটেলাইট ইতিমধ্যেই সমস্ত কঠিন পরীক্ষা পাশ করেছে।
এই স্যাটেলাইট কেন আলাদা?
জানা গিয়েছে, এই স্যাটেলাইটের ওজন প্রায় ১৬০ কেজি। এটি ভারতের বৃহত্তম ব্যক্তিগতভাবে তৈরি স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটে লাগানো ক্যামেরা ১.৫ মিটার থেকে ১.৫ মিটার বর্গক্ষেত্রের স্পষ্ট ছবি তুলতে পারে।
সবচেয়ে বড় কথা, এই স্যাটেলাইটে প্রথমবার দুটি প্রধান সেন্সর প্রযুক্তি আসছে একসঙ্গে। এর ফলে দিন-রাত বা মেঘলা আকাশ, সব আবহাওয়াতেই পৃথিবীর স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাবে।
এই স্যাটেলাইটে কী লাভ হবে?
- দুর্যোগ মোকাবিলা: জানা যাচ্ছে, এই স্যাটেলাইট অব্যর্থ ভাবে কোনও উপকূলবর্তী এলাকায় কোনও সাইক্লোন বা ঝড়ের পূর্বাভাস দিতে পারবে। ফলে, এই আগাম সতর্কতা দেওয়ার ক্ষেত্রে ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করতে এই ‘দৃষ্টি’ চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করবে।
- বন্যা পর্যবেক্ষণ: দেশের যে কোনোও জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করা যাবে একেবারে রিয়েল টাইমে। কোনও কতটা জল জমেছে, সেই হিসাবও করতে পারবে এই সাটেলাইট।
- কৃষি ও প্রতিরক্ষা: দেশের কৃষিখাতের জন্য এই স্যাটেলাইটের ডেটা খুবই কাজে লাগে। মাটি কেমন আছে, তা বুঝতে সাহায্য করবে এই স্যাটেলাইট। এ ছাড়াও এর রেজোলিউশন দুর্দান্ত হওয়ায় সীমান্তের স্পষ্ট ছবি তুলতে পারবে এই ক্যামেরা। ফলে, পাকিস্তান সীমান্তের ওপারে বসে কী গোলমাল পাকাচ্ছে, তা স্পষ্ট দেখা যাবে এই পারে বসেই।
গ্যালাক্সআইয়ের সিইও, সুয়শ সিং বলছেন, ‘এই মিশন ভারতকে বিশ্বের মহাকাশ মানচিত্রে একটি নতুন জায়গায় নিয়ে যাবে। আমরা এমন একটি সিস্টেম তৈরি করছি যা সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।”
এই সংস্থার লক্ষ্য আগামী চার বছরের মধ্যে এমন ৮ থেকে ১০টি স্যাটেলাইটের একটি ‘কনস্টেলেশন’ বা গ্রুপ তৈরি করা। ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র পথে এটি কিন্তু একটি বিরাট পদক্ষেপ। বেঙ্গালুরুতে তৈরি হলেও, মহাকাশের এই ‘চোখ’ গোটা দেশের সুরক্ষায় বড় ভূমিকা নিতে চলেছে।
