নয়া দিল্লি: আর মাত্র আটদিন বাকি। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট উপস্থাপন করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বাজেটে স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতের জন্য ইতিবাচক বেশ কিছু ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে আরও বেশি লগ্নি এবং নীতিগত কিছু পরিবর্তন দেখতে আগ্রহী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ। মনে করা হচ্ছে, এই পরিবর্তনগুলি স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও বেশি করে মানুষের নাগালের মধ্যে, সামর্থের মধ্যে এনে দিতে পারে। সেই সঙ্গে এই খাতের অন্যান্য চ্যালেঞ্জগুলিরও মোকাবিলা করতে পারবে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে আসন্ন বাজেটে কী কী প্রত্যাশা করা হচ্ছে –
মেট্রো শহরগুলির বাইরে স্বাস্থ্য পরিষেবা
স্বাস্থ্য পরিষেবা শিল্পে বাজেট বৃদ্ধির কথা ভাবতে পারে সরকার, এমনটাই আশা করা হচ্ছে। কারণ বাজেট বরাদ্দ বেশি হলে, তা শুধুমাত্র মেট্রো শহরগুলিতেই নয়, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরের শহরগুলিতেও স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মানুষের নাগালে এনে দিতে পারে।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন
হাসপাতালগুলির এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিকাঠামোর উন্নয়নের উপরও সরকারের নজর দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন এই খাতের শিল্পোদ্যোগীরা। কোভিড মহামারির সময়, হাসপাতালগুলিতে, বিশেষ করে নন-মেট্রো শহরগুলির হাসপাতালগুলিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি স্পষ্ট ধরা পড়েছিল। বিশেষত করে শয্যার অপ্রতুলতা, চিকিত্সা সরঞ্জাম না থাকার মতো ঘটনা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। ফলে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নকে সরকারের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ
ডাক্তার এবং নার্সদের মতো স্বাস্থ্য পরিষেবা যাঁরা দেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য তহবিল বরাদ্দ করা দরকার বলেও মনে করা হচ্ছে। তাদের দক্ষতা বাড়লে, স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত হবে এবং তার ইতিবাচক ফল মিলবে।
স্বাস্থ্য বিমার সংস্কার
স্বাস্থ্য বিমার সংস্কারকেও অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত সরকারের বলে, মনে করছে এই খাতের সব পক্ষ। তাতে আরও অনেক বেশি মানুষ উন্নততর স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রোগীর শিক্ষা ও সচেতনতা
এই বিষয়টি উপেক্ষিত রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যশিল্পের নেতারা। বর্তমান যুগে ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচুর ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে। যা চকিৎসক এবং রোগী, উভয় পক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দুই পক্ষই এই সকল ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তাই সঠিক তথ্য প্রচার নিশ্চিত করে, কীভাবে রোগীদের শিক্ষা এবং সচেতনতা বাড়ানো যায়, সেই দিকে নজর দেওয়া উটিত সরকারে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
জিএসটি সংস্কার
চিকিৎসা পরিষেবা এবং ওষুধ শিল্পে জিএসটি সংস্কার করে তাদের বিশেষ উৎসাহ দদেবে সরকার বলে আশা করছেন অনেকে। বিমা, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেলিমেডিসিন এবং চিকিৎসা পর্যটনের মতো ক্ষেত্রে কর কাঠামো সংস্কারের কথা বিবেচনা করতে পারে সরকার বলে মনে করা হচ্ছে।