নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গত ১ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদীর ২.০ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ হয়েছিল। সেই অন্তর্বর্তী বাজেটেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। লোকসভা ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। এবার নরেন্দ্র মোদীর ৩.০ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আগামী মাসেই বাজেট পেশ হবে। এই বাজেটে কোন-কোন বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হবে, এবারে কী জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন নির্মলা সীতারমন?- এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজনীতিকদের মতে, এবারের বাজেটে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারের উপর জোর দেওয়া হবে। এছাড়া জ্বালানি-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক সংস্কার এবং কর্মসংস্থানের উপর জোর দেওয়া হবে।
সম্প্রতি রাজস্ব সচিব সঞ্জয় মালহোত্রা, CII প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পুরী এক বৈঠক করেন। যেখানে বার্ষিক ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে প্রান্তিক করছাড় এবং পেট্রোল ও ডিজেলে আবগারি শুল্ক হ্রাস করা নিয়ে আলোচনা হয়। অপরিশোধিত জ্বালানির দাম ৪০ শতাংশ কমেছে এবং কেবল দিল্লিতে পরিশোধিত তেলের দাম ৪০ শতাংশ কমেছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। অর্থাৎ এবারের বাজেটে জ্বালানির দামের উপর নজর দেওয়া হবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধীরা বারবার সরব হয়েছেন। তাই এবারের বাজেটে কর্মসংস্থানের বিষয়টির উপরেও জোর দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে। কেন্দ্রের প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) প্রকল্প অনেকাংশে সফল। ফলে এই প্রকল্পের পরিধি বাড়াতে খেলনা, আসবাবপত্রের মতো কিছু নতুন সেক্টর অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া কর্মসংস্থান বাড়াতে পর্যটন ক্ষেত্রের উপরেও জোর দেওয়া হবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।