কলকাতা: সরকারে আসার পর থেকে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলি (Nationalized Bank) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের দৈন দশা কাটাতে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কগুলি সংযুক্তিকরণের পথে হেঁটেছিল সরকার। কেন্দ্রের সরকারের মালিকানাধীন সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (Central Bank Of India), সংস্থার আর্থিক বোঝা কমাতে ১৩ শতাংশ ব্রাঞ্চ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেশ কিছু বছর ধরে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি এই ব্যাঙ্ক। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া তাদের ৬০০ টি ব্রাঞ্চ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া দেশের পুরানো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে অন্যতম, সেই কারণে এই ব্যাঙ্কে প্রচুর প্রবীণ মানুষের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে ব্যাঙ্কগুলির শাখা বন্ধের খবর সামনে আসার পর থেকে গ্রাহকদের একটা বড় অংশ সমস্যার মুখোমুখি। দেশের ৬০০ টি ব্রাঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাঙ্কের কর্মীদের একাংশের মধ্যেও আশঙ্কা ছড়িয়েছে।
আর্থিক সমস্যা সমাধানের জন্য মার্চ ২০২৩ এর মধ্যে ব্যাঙ্কটি অলাভজনক বেশ কয়েকটি শাখা সংযুক্তিকরণের পথে হাঁটতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আর্থিক সমস্যা সমাধানের জন্য সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া রিয়েল এস্টেটের মতো নন-কোর অ্যাসেট বিক্রির মতো পদক্ষেপ নিতে পারে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বয়স ১০০ বছরেরও বেশি এবং এই মুহূর্তে দেশে এই ব্যাঙ্কের ৪ হাজার ৫৯৪ টি শাখা রয়েছে। ২০১৭ সালে দেশের ব্যাঙ্ক নিয়ামক সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্যান্য বেশ কিছু আর্থিক সংস্থার পাশাপাশি সিবিআইকে প্রম্পট কারেকশন অ্যাকশনের আওতায় ফেলেছিল। অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি সংস্থার উন্নতি ঘটিয়ে ওই তালিকা থেকে বেরিয়ে এলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও ওই তালিকায় রয়েছে। তবে সাংবাদিকদের তরফে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ফোন নম্বর ও ইমেলে যোগাযোগ করা হলেও তাদের তরফ থেকে কোনওই উত্তর মেলেনি। এখন ব্রাঞ্চ বন্ধের এই সিদ্ধান্ত কবে থেকে চালু হয়, সেটাই এখন দেখার।