Air India: টাটার হাতে গেল কেন্দ্রের ‘চিঠি’, মালিকানা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা
TATA Sons: ঋণে জর্জরিত সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া তুলে দেওয়া হবে টাটার হাতে। ঘোষণা হয়েছে আগেই, এবার আরও এক ধাপ এগোল সেই প্রক্রিয়া।
নয়া দিল্লি: কয়েকদিন আগেই ঘোষণা করা হয়েছে, টাটা সন্সের (TATA Sons) হাতে তুলে দেওয়া হবে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) মালিকানা। সেই সব প্রক্রিয়া একটু একটু করে এগোচ্ছে। এবার টাটাকে মালিকানা তুলে দেওয়ার জন্য চিঠি দিল কেন্দ্র, যাকে বলা হয় লেটার অব ইনটেন্ট (Letter of Intent)। ১৮ হাজার কোটি টাকায় তুলে দেওয়া হচ্ছে সংস্থার ১০০ শতাংশ শেয়ার। সেই ইচ্ছা প্রকাশ করে নিয়ম মেনে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে সোমবার।
সেই লেটার অব ইনটেন্ট গ্রহণ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। এবার শেয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টে (SPA) স্বাক্ষরিত হবে কেন্দ্র ও টাটার মধ্যে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণত লেটার অব ইনটেন্ট গৃহীত হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যেই স্বাক্ষরিত হয় চুক্তি। যত দ্রুত সম্ভব, সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র।
৬৮ বছর আগে টাটা-রাই ছিল এয়ার ইন্ডিয়া মালিক। তাই এই সংস্থা নিয়ে টাটা সন্সের আবেগ ছিলই। এবার তাদের হাতেই ফের যাচ্ছে মালিকানা। ঋণের ভারে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়ার নিলাম হয়েছিল আগেই। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরে।
টাটা ছাড়াও আরও এক বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইস জেটের কর্ণধার অজয় সিংহ এয়ার ইন্ডিয়ার শেয়ার কেনার জন্য দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। ১৫ হাজার কোটি টাকায় মালিকানা পেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাটাদের বিড সেই দরপত্রকে ছাপিয়ে যায়। তাই শেষ পর্যন্ত রতন টাটার দরপত্রেই ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে মোট ৭০ হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার। এই সংস্থার জন্য প্রত্যেকদিন সরকারের ক্ষতি হচ্ছে ২০ কোটি টাকা। এর আগেও একবার এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিপুল ঋণের বোঝা থাকার কারণে কোনও সংস্থা উৎসাহ দেখাচ্ছিল না। ফলে, তখন সফল হয়নি কেন্দ্র। ঋণের বোঝা থাকা সত্ত্বেও আজও এয়ার ইন্ডিয়া দেশের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ বিমান সংস্থা। বর্তমানে দেশের সব বিমানবন্দরের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ডোমেস্টিক বিমানের জন্য বরাদ্দ ৪,৪০০ টি ল্যান্ডিং ও পার্কিং স্লট। আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য বরাদ্দ ১৮০০ টি ল্যান্ডিং ও পার্কিং স্লট। এ ছাড়া দেশের বাইরে ৯০০ টি স্লট রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার জন্য।
বছরের পর বছর লাভের মুখ দেখেনি এয়ার ইন্ডিয়া। কার্যত ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। এ ভাবে সংস্থা আর চালানো সম্ভব হচ্ছিল না সরকারের পক্ষে। এর আগেও অনেক সময় এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, তবে কোনও সরকারই সফল হয়নি। কখনও রাজনৈতিক বিরোধিতায় আটকে গিয়েছে বিক্রি, আবার কখনও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। এবার পুরো প্রক্রিয়া কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হতে চলেছে।