AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

China Airlifter: বিশ্বের বৃহত্তম ‘যুদ্ধবিমান’ তৈরি করছে চিন, ঠিক কী চাইছে জিনপিং?

People's Liberation Army Air Force: এই বিমান তৈরি হয়ে গেলে তা ব্যবহার করবে PLAAF বা চিনের পিপলস লিবারারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স। কিন্তু এই বিমানের ঠিক কী ক্ষমতা, তা শুনলে কপালে উঠে যাবে চোখ।

China Airlifter: বিশ্বের বৃহত্তম 'যুদ্ধবিমান' তৈরি করছে চিন, ঠিক কী চাইছে জিনপিং?
চিনের হাতে বিশ্বের বৃহত্তম ‘যুদ্ধবিমান’!Image Credit: Getty Images
| Updated on: Oct 24, 2025 | 10:33 AM
Share

সামরিক শক্তির তালিকায় ভারতের পিছনে চলে যাওয়াকে ঠিক মেনে নিতে পারছে না চিন। ফলে, একাধিক উপায়ে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে চাইছে ড্রাগনের দেশ। এবার বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক পরিবহন বিমান তৈরির পথে শি জিনপিংয়ের দেশ। আর এর ফলে আমেরিকার C5 Galaxy ও ইউক্রেনের An-124 Ruslan বিমান পড়তে চলেছে চ্যালেঞ্জের মুখে। এই নতুন বিমান তৈরি হবে Blended Wing Body বা BWB ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে। যা নিয়ে কয়েক দশক ধরে গবেষণা করছে নাসা।

বিশাল ক্ষমতা, অকল্পনীয় পাল্লা

এই বিমান তৈরি হয়ে গেলে তা ব্যবহার করবে PLAAF বা চিনের পিপলস লিবারারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স। কিন্তু এই বিমানের ঠিক কী ক্ষমতা, তা শুনলে কপালে উঠে যাবে চোখ।

  • এই বিমান ১২০ মেট্রিক টন কার্গো বহন করতে পারবে।
  • একটানা উড়তে পারবে ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার।
  • এই বিমানের সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন ৪৭০ টনের কাছাকাছি।

চিনের বর্তমান ফ্ল্যাগশিপ Y-20-এর বহন ক্ষমতা মাত্র ৬৬ টন এবং পাল্লা ৪ হাজার ৫০০ কিমি। নতুন বিমানটি সেই ক্ষমতাকে প্রায় দ্বিগুণ করবে। এ ছাড়াও নতুন এই বিমান Mach 0.85 গতিতে ক্রুজ করতে পারবে।

ভূ-রাজনৈতিক বিপদ কোথায়?

সমর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিমান যদি সত্যিই তৈরি হয়ে থাকে, তবে চিনের যুদ্ধ ক্ষমতা এক ধাক্কায় বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। এমন হলে তারা খুব দ্রুত অনেক দূরের কোনও জায়গায় সৈন্য ও ভারী সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করতে পারবে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এবং আফ্রিকার জিবুতির মতো দূরবর্তী ঘাঁটিতে মুহূর্তে রসদ পৌঁছে দিতে পারবে চিন।

সামরিক বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করছেন, BWB ডিজাইনের সুবিধা নিয়ে চিন মাত্র ২ হাজার ৬০০ মিটারের ছোট রানওয়ে থেকেও এই বিমান ওড়াতে পারবে।

ভারতের জন্য কী বার্তা?

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের এই পদক্ষেপের কারণে ভারতকেও এখন তার স্ট্র্যাটেজিক এয়ারলিফ্টের ক্ষমতা নিয়ে দ্রুত নতুন করে ভাবতে হবে। চিনের এই দৈত্যাকার বিমান যে শুধু সামরিক ক্ষেত্রেই ব্যবহার হবে, এমন নয়। আগামীতে তারা হয়টো এই বিমানকে অনেক কাজেই ব্যবহার করবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত।