
চাকরি খোঁজার এখন অন্যতম মাধ্যম হল লিঙ্কডইন (Linkedin)। নিয়োগকারী সংস্থা সেখানে নিজেদের শূন্যপদের বিজ্ঞাপন দেয়। সেই বিজ্ঞাপন দেখে আগ্রহী প্রার্থীরা সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করে। প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীই নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইলে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন যোগ্যতার বর্ণনা দিয়ে সাজিয়ে তোলে। কোনও নিয়োগকারী সংস্থা সেই প্রোফাইলে আগ্রহী হয়ে নিজেরাই সেই প্রার্থীকে চাকরির জন্য প্রস্তাব দেয়। এক কথায় চাকরির বাজার বলা যেতে পারে লিঙ্কডইনকে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন অনেক নামি-দামি সংস্থার সিইও, ম্যানেজিং ডিরেক্টররাও। গত ১ জুলাই নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইল থেকে পাঁচ দশকের পুরনো বায়োডেটা শেয়ার করলেন মাইক্রোসফ্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
এখন যতটা বায়োডেটা গোছানোর রমরমা রয়েছে তখন তা ছিল না। ছিমছাম অক্ষরে পরপর নিজের যোগ্যতা সাজিয়ে রেখেছেন বিল গেটস। দীর্ঘ পাঁচ দশক আগের একটি নিজের বায়োডেটা পোস্ট করেন ৬৬ বছরের বিল গেটস যখন তিনি হার্ভার্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বায়োডেটায় তাঁর করা বিভিন্ন কোর্সের বর্ণনাও রয়েছে। যেমন, তিনি অপারেটিং সিস্টেম স্ট্রাকচার, ডেটা বেস ম্য়ানেজমেন্ট, কমপাইলার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কম্পিউটার গ্রাফিক্সে তাঁর কোর্স করা। বায়োডেটায় তাঁর পুরো নাম উইলিয়াম হেনরি গেটসও রয়েছে। সেই বায়োডেটার ছবি পোস্ট করে তিনি ক্য়াপশনে লিখেছেন, ‘তোমরা সম্প্রতি স্নাতক পাস বা কলেজ ড্রপ আইট করেছ, যাই করে থাক না কেন আমি নিশ্চিত যে তোমাদের বায়োডেটা আমার ৪৮ বছরের পুরনো বায়োডেটার থেকে দেখতে ভাল।’
বিল গেটসের লিঙ্কডইন পোস্ট
তাঁর এই পোস্টটি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কমেন্ট বক্সে উপচে পড়েছে নেটিজ়েনদের প্রতিক্রিয়া। একজন লিখেছেন, ‘এটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ বিল। এটি হৃদয় স্পর্শ করে গিয়েছে। সবসময় আপনার বায়োডেটা দেখার আগ্রহ ছিল। অবশেষে দেখে ভাল লাগল।’ আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ক্লাসিক, সোজাসাপ্টা ও অকপট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।’