নয়া দিল্লি: বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন ভাঙাত অভিযোগে ফ্লিপকার্টকে নোটিস দিল ইডি। নোটিস দেওয়া হয়েছে সংস্থার দুই প্রতিষ্ঠাতা সহ মোট ১১ জনকে। কেন তাদের কাছ থেকে ১০,৬০০ কোটি টাকা জরিমানা নেওয়া হবে না? তা জানতে চেয়েছে ইডি। ৯০ ইনের মধ্যে জবাব দিতে হবে সংস্থাকে।
ইডি সূত্রের খবর, ভারতের ফরেন এক্সচেঞ্জে ম্যানেজেন্ট আইন ভঙ্গ করেছে ফ্লিপকার্ট। তাই দুই প্রতিষ্ঠাতা সচিন বনসল, বিনি বনসল সহ সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্তাকে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। তবে আইনভঙ্গ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফ্লিপকার্ট। তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ফ্লিপকার্ট ভারতের সব আইন মেনে চলছে। বিদেশি বিনিয়োগের নিয়মও মানছে সংস্থা। আমরা ইডির সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করব।’ ২০০৯ থেকে ২০১৫ এই সময়কালের মধ্যে আইন ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট এবং অ্যামাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি। সূত্রের খবর, ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে এই ই-কমার্স সংস্থা বিদেশি বিনিয়োগ এবং ডব্লুএস রিটেল নামে একটি সম্পর্কিত সংস্থাকে টেনে নিয়েছে। তারপর নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে ক্রেতাদের জিনিসপত্র বিক্রি করেছে। আর এটাই বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইনের পরিপন্থী।
তিন বছরে ফ্লিপকার্টের বাজারমূল্য দ্বিগুণ হয়েছে। ফ্লিপকার্টের বাজারমূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৭.৬ বিলিয়ন ডলার।জুলাই মাসের শুরুর দিকে ফ্লিপকার্টরে চেন্নাইয়ের অফিসে একটি শো কজ নোটিস দেওয়া হয়। এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ফ্লিপকার্ট। দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের তরফ থেকেও কিছু জানানো হয়নি।
২০১৮-তে ফ্লিপকার্টের ১৬ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার কিনে নেয় ওয়ালমার্ট। এমনিতেই ছোট ব্যবসায়ীরা ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগজানিয়েছে। তার মধ্যে এই অভিযোগ সংস্থাকে আর সমস্যা ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: কোভিডে বাবা-মা হারানো শিশুদের জন্য ৫ লক্ষের স্বাস্থ্যবীমা, টাকা দেওয়া হবে পিএম কেয়ার থেকে