নয়া দিল্লি: উচ্চ শিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার কথা বাজেটে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবার থেকে প্রতি বছর ১ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষাক্ষেত্রে ঋণ দেওয়া হবে। শিক্ষাঋণের সুদে ৩ শতাংশ ছাড় দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি, বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরিতে আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতী ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন। ৫০০ কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপের সুযোগ থাকবে। ইন্টার্নশিপে মাসে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন যুবক-যুবতীরা।
গোটা দেশে রমরম করে বাড়ছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চাকরিক্ষেত্রে নিজেদের পরিসর বাড়াতে ম্যানেজমেন্ট ছাড়াও একাধিক কোর্সের ওপর ঝুঁকছেন ছাত্রছাত্রীরা। স্কুল জীবন শেষ করার পরই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়াও, প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপরেই বেশি নজর দিচ্ছেন বর্তমান যুব সমাজ। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছেলেমেয়েদের পড়ানোর ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত অভিভাবকদের কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ। ভরসা শিক্ষাঋণ। সরকারি কিংবা পাবলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য বজার রেখেই যাতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন ছাত্রছাত্রীরা, তাতে বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাজেটে তার প্রভাবও পড়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদেরই ঘাড়ের উপর জাঁকিয়ে বসে সুদের বেড়াজাল। সেক্ষেত্রে শিক্ষাঋণের সুদে ৩ শতাংশ ছাড় দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলো ৬.৮৫ থেকে ৯.৩৫ শতাংশের বিচারে শিক্ষাঋণ দিয়ে থাকে। সেত্রে ৩ শতাংশ সুদে ছাড় মিললে ছাত্রছাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র।