নয়া দিল্লি: নতুন বছরেই বড় বদল আসতে পারে ইপিএফও-তে। কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে বেতনের সীমা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করতে পারে। এতে আরও চাকরিজীবীরা ইপিএফও-র অন্তর্ভুক্ত হবেন। বাড়বে পিএফ অ্যাকাউন্টে সঞ্চয়।
সম্প্রতিই বার্ষিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০১৯ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ইপিএফও-র ইনভেস্টমেন্ট কর্পাস দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৯ সালে যেখানে কর্পাস ছিল ১১.১ ট্রিলিয়ন, সেখানেই ২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২৪.৭৫ ট্রিলিয়নে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। সক্রিয় বিনিয়োগকারীদের হারও ৭.৬ শতাংশ বেড়েছে।
এবার আসা যাক, ইপিএফও-র কাঠামো বদলে। শেষবার ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ইপিএফও-র বেতন সীমা ৬৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করেছিল। এবার তা বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করার পরিকল্পনা সরকারের।
বেতনের সীমা বাড়ালে, কর্মীদের ইপিএফ ও ইপিএস (এমপ্লয়ি পেনশন স্কিম)-এ কন্ট্রিবিউশন বাড়বে। ইপিএফও-র বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও কর্মীর বেতন ১৫ হাজার টাকার বেশি হয়, তবে তারা এমপ্লয়ি পেনশন স্কিমে যোগদান করতে পারেন না।
এবার কেন্দ্রীয় সরকার যদি বেতনের সীমা ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করে, তবে ১৫ হাজার টাকার বেশি বেতনপ্রাপ্তরাও ইপিএস স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, ইপিএসে বিনিয়োগ করলে, ইপিএফও-তে কর্মীদের বিনিয়োগের হার কমে যাবে।
ইপিএফও-তে যে ১২ শতাংশ বিনিয়োগ করেন কর্মীরা, তার ৮.৩৩ শতাংশ ইপিএসে চলে যাবে। বর্তমানে ইপিএপে সর্বাধিক ১২৫০ টাকা বিনিয়োগ করা যায় ১৫ হাজার টাকার বেতনের হিসাবে। এই সীমাই যদি বাড়িয়ে ২১ হাজার টাকা করা হয়, তবে ইপিএসে প্রতি মাসে ১৭৪৯ টাকা জমা পড়বে।