নয়া দিল্লি: অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের একটি অথবা দুটি ওষুধের বড়ির দরকার পড়ে। কিন্তু, দোকানে গেলে কিনতে হয় ওই ওষুধের পুরো পাতাটি। ফলে উপভোক্তাদের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ওষুধ কিনতে হয়। এর কারণ ওষুধের পাতায় একটি নির্দিষ্ট জায়গাতেই সেটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ, তৈরির তারিখের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া থাকে। ফলে পাতাটি কেটে দিলে, হয় উপভোক্তারা সেই সব তথ্য জানতে পারেন না। অথবা, কাটা ওষুধের পাতাটিতে ওই তথ্য না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় দোকানদারদের। তবে, এখন এইপরিস্থিতির বদল ঘটতে চলেছে। সরকার এমন এক পরিকল্পনা করেছে, যাতে উপভোক্তা ও দোকানদার – উভয় পক্ষই সুবিধা পাবে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত ওষুধ কিনে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হবে না।
আসলে সরকার দেখেছে, এক জায়গায় মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখের মতো প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া থাকলে, বাধ্য হয়ে কোনও ওষুধের সম্পূর্ণ পাতা কিনতে হচ্ছে উপভোক্তাদের। এর ফলে একদিকে যেমন উপভোক্তাদের উপর অপ্রয়োজনীয় আর্থিক বোঝা পড়ে। আবার তেমনই, প্রচুর ওষুধই নষ্টও হয়। কিনে আনার পর, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকলে, পরে আর সেই সব ওষুধ ব্যবহার করা যায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলি ফেলে দিতে হয়। এবার এই সমস্যার সমাধানে একটি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক।
এই বিষয়ে একটি বিশেষ বিজ্ঞাপ্তি জারি করেছে মন্ত্রক। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উপভোক্তাদের এখন আর অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে হবে না। এখন আর আগের মতো কোও ওষুধের পাতার এক জায়গায় ওই ওষুধটি সম্পর্কে সব তথ্য না দিয়ে, প্রতিটি ট্যাবলেটে সেই তথ্য দেওয়া হবে। পাতার প্রতিটি ট্যাবলেটে তৈরির তারিখ, ব্যাচ নম্বর, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখের মতো বিশদ বিবরণ দেওয়া হবে। কাজেই, প্রচিটি ট্যাবলেটেই সেই সব তথ্য পেয়ে যাবেন আপনি। আর, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে হবে না। একটি বা দুটি বড়ির দরকার হলে, আপনাকে পুরো ওষুধের পাতাটি কিনতে হবে না।
সম্প্রতি, এই বিষয়ে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক, ওষুধ শিল্পের প্রথম সারির শিল্পনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে ওষুধের প্যাকেজিং নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। সেখানেই মন্ত্রক সুপারিশ করেছে যে, ওষুধের প্যাকেজিংয়ের জন্য নতুন নতুন কৌশল বের করতে হবে।