নয়া দিল্লি: আজকাল পকেটমারদের বাজার খারাপ। কারণ সাধারণ মানুষের পকেটে আর নগদ টাকা থাকে না। অনলাইনেই যাবতীয় আর্থিক লেনদেন হয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই বেড়েছে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন। ২০১৬ সালে ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার তরফে ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস বা ইউপিআই ট্রানজাকশন চালু করা হয়। সম্প্রতিই অনলাইনে লেনদেনে রেকর্ড গড়েছে ইউপিআই। ২০২২ সালে মোট ১৪৯.৫ ট্রিলিয়ন বা ১৪৯ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ইউপিআই লেনদেনের এই ব্যাপক জনপ্রিয়তার পরই একাধিক ব্যাঙ্কের তরফে ইউপিআই লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা স্থির করে দেওয়া হয়েছে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, আইসিআইসি ব্যাঙ্ক এই ঊর্ধ্বসীমা ধার্য করা হয়েছে।
এনপিসিআই-র নিয়ম অনুযায়ী, ইউপিআইয়ের মাধ্যমে দৈনিক সর্বাধিক ১ লক্ষ টাকা অবধি আর্থিক লেনদেন করা যায়। তবে ছোট ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে এই আর্থিক ঊর্ধ্বসীমা ২৫ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে। জানা গিয়েছে,এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের তরফে ইউপিআই লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা ১ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে নতুন গ্রাহক যারা, তাদের ক্ষেত্রে ৫০০০ টাকা ঊর্ধ্বসীমা ধার্য করা হয়েছে।
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের তরফে দৈনিক ইউপিআই লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা ১০ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে।
অ্যাক্সিস ব্য়াঙ্কের তরফে ইউপিআই লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা ১ লক্ষ ধার্য করা হয়েছে।
ব্য়াঙ্ক অব বরোদার তরফে ইউপিআই লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা ২৫ হাজার টাকা ধার্য করা হয়েছে।
দৈনিক কতবার ইউপিআই-র মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করা যাবে, তাও এনপিসিআই-র তরফে ধার্য করা হয়েছে। এনপিসিআই-র তরফে জানানো হয়েছে, দৈনিক সর্বাধিক ২০ বার আর্থিক লেনদেন করা যাবে। এরপরে আর্থিক লেনদেনের জন্য ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। তবে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের উপরে এই লেনদেনের ঊর্ধ্বসীমা নির্ভর করে।