নয়াদিল্লি: আপনার গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে তা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে গুগল। কার ক্রাশ ডিটেকশন ফিচার আনার কথা ২০১৯ সালেই ঘোষণা করেছিল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগল। তবে এই পরিষেবা এত দিন আমেরিকার নাগরিকের জন্যই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে কার ক্রাশ ডিটেকশন ফিচার চালু করল গুগল। যার মধ্যে রয়েছে ভারতও। অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড এবং ভারতের জন্য এই পরিষেবা চালু হল। তবে সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই পরিষেবা চালু হবে না। আপাতত কয়েকটি নির্দিষ্ট অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই এই পরিষেবা মিলবে।
গাড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া গুগলের এই ফিচার ভারতে লব্ধ হবে পিক্সেল ৪এ, পিক্সেল ৬এ, পিক্সেল ৭, পিক্সেল ৭ প্রো, পিক্সেল ৭এ, পিক্সেল ৮ এবং পিক্সেল ৮ প্রো ফোনে। বিশ্বের অন্য দেশেও এই ফোনগুলিতেই আপাতত গুগলের এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। তবে কেবল মাত্র ইংরেজি নয়। আপাতত ১১টি ভাষায় এই ফিচার মিলবে। তবে সেই তালিকায় এখনও যুক্ত হয়নি হিন্দি।
গুগলের কার ক্রাশ ডিটেকশন ফিচার পিক্সেল ফোনের ওই ভার্সনগুলিতে প্রিইনস্টলড থাকবে। এই ফিচার সুন্দর ভাবে পরিচালনার জন্য লাগবে লোকেশন, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি এবং মাইক্রোফোন ব্যবহারের অনুমতি। সেই সঙ্গে ফোনে সিম কার্ড থাকতে হবে। এবং তা যথাযথভাবে সক্রিয় থাকতে হবে। এবং এটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় যে সেটিং করতে হবে তার বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে গুগলের সাপোর্ট পেজে।
পথ যেতে যেতে যদি আপনার গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তা চিহ্নিত করবে গুগলের এই অত্যাধুনিক ফিচার। সঙ্গে সঙ্গে পিক্সেল ফোন ডায়াল করবে এমার্জেন্সি নম্বরে। ভারতের ক্ষেত্রে যা ১১২। এই নম্বরে ডায়াল হওয়ার পরেই আপনি ফোনের স্ক্রিনে দেখতে পাবেন একটি বার্তা। সেখানে লেখা থাকবে “I’m Okay”। এই ফিচার যদি কোনও ভুল করে, তার জন্যই উপায় থাকবে। এমার্জেন্সি ডায়াল বন্ধ করার জন্য ৬০ সেকেন্ড পাবেন আপনি। “I’m Okay”তে ক্লিক করলে আরও তিনটি অপশন দেখাবে আপনাকে। “No crash”, “Minor crash”, এবং “Call 112”। এর মধ্যে যেটি আপনার প্রয়োজন হবে সেটি আপনি বেছে নিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, এমার্জেন্সি ডায়ালের ক্ষেত্রেও মেডিক্যাল, ফায়ার বা পুলিশি সহয়তার বিকল্প থাকবে।
এই ফিচার চালু থাকলে বিপদের সময় ফোন লক থাকলেও আপনি ফোনের মেজেস এবং এমার্জেন্সি বিভিন্ন তথ্য দেখতে পারবেন। আপনি এই সুবিধা না চাইলে তা বন্ধ করেও রাখতে পারেন। তবে আগামী দিনে গুগলের এই ফিচার দুর্ঘটনার কবলে পড়া ব্যক্তিদের কাছে দারুণ সহায়ক হয়ে উঠতে পারে বলে আশা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের।