নয়া দিল্লি: সময়ের সঙ্গে বদলেছে কাজের ধরন, পদ্ধতি। ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের ভারসাম্যকে দেওয়া হচ্ছে যথেষ্ট গুরুত্ব। শুধুমাত্র সংস্থা নয়, কর্মচারীদের সুবিধা-সুবিধাও বর্তমানে প্রাধান্য পাচ্ছে। আর কর্মচারীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রের তরফে আনা হয়েছে নতুন শ্রম আইন। এখনও অবধি সমস্ত রাজ্যে এই আইন কার্যকর না হলেও, কেন্দ্রের এই নীতি নিয়ে আশাবাদী সাধারণ কর্মচারীরা। নতুন শ্রম আইনে বদলানো হয়েছে বেতনের বিভাজন, কাজের সময়সীমা ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতেও একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে যে নতুন শ্রম আইন কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে কর্মীদের বেতনের বিভাজনে পরিবর্তন এনে হাতে পাওয়া বেতন বা টেক হোম স্যালারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি কাজের সময়ের হিসাবেও পরিবর্তন করা হয়েছে। যদি কোনও সংস্থার কর্মচারীরা সপ্তাহে ৯ ঘণ্টা করে কাজ করেন, তবে তাদের সপ্তাহে দুটি ছুটি দেওয়ার নিয়ম বাধ্য়তামূলক করার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত শ্রম আইনে কর্মচারীদের অবসরের সময়ে জমা পুজি ও গ্রাচুয়িটির অঙ্কও বাড়ানো হবে।
পেমেন্ট গ্রাচুয়িটি আইন ১৯৭২ অনুযায়ী, যদি কোনও বেসরকারি সংস্থায় ১০ জনের বেশি কর্মী থাকে, তবে সেই সংস্থার কর্মীরা পাঁচ বছর কাজ করার পরই গ্রাচুয়িটির সুবিধা পাবেন। কেন্দ্রের পরিকল্পনা, এই গ্রাচুয়িটির সময়কাল বা যোগ্য়তা ৫ বছর থেকে কমিয়ে ১ বছর করে দেওয়া হবে। তবে এই নিয়ম সমস্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না, কেবলমাত্র চুক্তিভিত্তিক বা নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্যই নিয়োগ করা কর্মীরা এই সুবিধা পাবেন। যারা পে-রোলের অধীনে, তাদের জন্য গ্রাচুয়িটির নিয়ম একই থাকবে।
মূলত নীচু স্তরের কর্মী, যেমন শ্রমিক, ফ্যাক্টরির কর্মী, হেল্পার, গাড়ির চালকের মতো পেশার কর্মীরাও যাতে অবসরের পর আর্থিক সুবিধা পান, তার জন্যই কেন্দ্রের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী,কর্মীদের বেতনের উপর ভিত্তি করেই তাদের গ্রাচুয়িটির অঙ্কও স্থির করা হবে।