নিউ ইয়র্ক: আদানি গ্রুপ (Adani Group) নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে (Hindenburg Report) ঝড় উঠেছিল শেয়ার বাজারে। হু হু করে পতন হয়েছিল আদানির একাধিক শেয়ার দরে। বিশ্বের প্রথম তিন-চারজন ধনকুবের তালিকা থেকে ধূলোয় মিশিয়ে গিয়েছিলেন গৌতম আদানি। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ নামক মার্কিন শর্ট সেলিং সংস্থার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই প্রায় ৬০ শতাংশ কমেছিল আদানির সম্পত্তি। গুজরাটের ব্যবসায়ী গৌতম আদানি নিয়ে বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করার পর আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার পথে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এই সংস্থা জানিয়েছে, আরও একটি বড় বিষয় সামনে আসতে চলেছে। তবে আদানির মতো কোন সংস্থার উপর অন্ধকার আসতে চলেছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি এই শর্ট সেলিং সংস্থা।
বৃহস্পতিবার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ টুইটে জানিয়েছে, “নতুন রিপোর্ট আসছে খুব শিগগির- আরেকটি বড় রিপোর্ট।” প্রসঙ্গত, গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা ১০৬ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। আর ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির উপর আকাশ ভেঙে পড়ে। গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলে এই সংস্থা। রাতারাতি কয়েক কোটি টাকা হারায় আদানি সংস্থা।
প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার (২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা) সম্পত্তি মুছে যায় গৌতম আদানির। এ সমীক্ষা অনুযায়ী, সেই সময় আদানি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী ব্যক্তি ছিলেন। সেখান থেকে ৬০ শতাংশ সম্পত্তি হারান তিনি। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে আদানির বিরুদ্ধে শেয়ার দামে কারচুপির অভিযোগ করা হয়েছিল। বর্তমানে এই অভিযোগে আপাতত সুপ্রিম কোর্ট গঠিত কমিটি ও সেবি তদন্ত করছে। এদিকে সেই পতন থেকে অনেকটাই ছন্দে ফিরতে সক্ষম হয়েছে আদানির শেয়ার। এদিকে আদানির মতো আর কার বিরুদ্ধে এরকম বিস্ফোরক অভিযোগ হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আনতে চলেছে তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। এই শর্ট সেলিং সংস্থার তরফে স্পষ্ট করে না বলা হলেও মনে করা হচ্ছে, চলতি ব্যাঙ্কিং সঙ্কটের সঙ্গে এর কোনও সংযোগ থাকতে পারে।