সাম্প্রতিককালে আইটি সেক্টরে বহুল আলোচিত একটি বিষয় হল ‘মুনলাইটিং’ (Moonlighting)। বেশি উপার্জন করে হাতে আকাশের চাঁদ পেতে গিয়ে অনেকেই চাকরির পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত সময় অন্য সংস্থার হয়েও কাজ করে থাকেন। কর্পোরেট ভাষায় এটিকেই মুনলাইটিং বলে অভিহিত করা হয়। অনেক সংস্থাই মুনলাইটিংয়ের বিষয়টিকে অনৈতিক বলে অভিহিত করেছে। বহু নাম করা সংস্থা কর্মীদের মুনলাইটিংয়ের জন্য ছাঁটাই করেছে। তবে সেই বিতর্ক আজ থাক। বরং, মুনলাইটিংয়ের ক্ষেত্রে আয়কর দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যাক। একজন ব্যক্তি যদি একটি সংস্থার হয়ে ‘ফুল টাইম’ চাকরি করার পাশাপাশি অন্য এক সংস্থার হয়েও কাজ করে, তাহলে কীভাবে এবং কিসের ভিত্তিতে আয়কর জমা দেবেন?
বেতনভুক্ত যেকেনও কর্মচারীকে আয়কর রিটার্ন জমা করতে ১ নং ফর্ম দিতে হয়। তবে ফ্রিলান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ফর্ম নং ৪ জমা করতে হয়। এই আহবে ফ্রিলান্সিং বাবদ পাওয়া আপনার পুরো অর্থের উপর কর ধার্য হবে না। অনেকেই সেই ভুল করে থাকেন অবশ্য। ফ্রিলান্সিংয়ের মাধ্যমে আপনার ‘আসল’ আয়ের অর্থ – উপার্জন থেকে খরচ বাদ পড়বে। মানে, কেউ যদি কোনও সংস্থার হয়ে কোডিং করে থাকেন, সেই ক্ষেত্রে বিদ্যুতের খরচ, ডেটার খরচ এবং আনুষাঙ্গিক খরচ বাদ দিতে হবে উপার্জন থেকে। সেই ‘নেট’-এর উপর আপনার আয়কর ধার্য হবে। আপনার কাজের জন্য সংস্থা আপনাকে যে টাকা দিচ্ছে, তার পুরোটার উপন কর ধার্য হবে না।
যতক্ষণ না আপনার ফ্রিলান্সিংয়ের আয় ৫০ লক্ষ ছাড়াচ্ছে, ততক্ষণ আপনি করযোগ্য আয় ৫০ শতাংশ দেখাতে পারেন। অর্থাৎ, কেউ যদি চাকরির পাশাপাশি ফ্রিলান্সিং করে বছরে ১৬ লক্ষ টাকা আয় করেন, তাহলে ৮ লক্ষের উপর আয়কর দিলেই চলবে। এদিকে সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি চাকরির বেতন বাবদ ২৫ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি (২৫ লাখ + ৮ লাখ = ৩৩ লাখ) টাকার উপর আয়কর দেবেন। এদিকে চাকরির পাশাপাশি ফঅরিলান্সিং করলে ৮০সি এবং ৮০ডি ধারায় কর ছাড় পেতে কোনও সমস্যা হবে না।