নয়া দিল্লি: লোহিত সাগরে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে এবার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভারতের বাসমতি চালের রফতানির উপর। বিশেষ করে মিশর কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিকে, যেখানে রফতানির জন্য এই লোহিত সাগরের জলপথ ব্যবহার করা হয়। বর্তমান এই পরিস্থিতির কথা জানাচ্ছেন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান অভিষেক দেব। লোহিত সাগরে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তার জেরে সেই পথে রফতানি বৃদ্ধিতে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে যে দেশগুলিতে ভারতীয় পণ্যের বাজার সবথেকে বড়, যেমন গাল্ফ উপসাগরীয় দেশগদুলি, সেখানে খুব একটা প্রভাব পড়েনি বলেই জানাচ্ছেন অভিষেক দেব। পাশাপাশি আঙুরের রফতানির উপরেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে বলে জানাচ্ছেন তিনি।
রফতানির জন্য জাহাজপথ বদলানো হয়েছে, দামেও বদল আনা হয়েছে। তারপরও ভারতের বহির্বাণিজ্যের বড় পয়েন্টগুলিতে চাহিদা মোটেই কমেনি। বর্তমানে দুই ধরনের চাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ভাঙা চাল ও অ-বাসমতি সাদা চাল বর্তমানে রফতানি করা যায় না। এছাড়া পারবয়েলড রাইস রফতানির উপর ২০ শতাংশ হারে রফতানি শুল্ক লাগে। সেক্ষেত্রে অভিষেক দেব জানাচ্ছেন, সামগ্রিকভাবে বাসমতি চালের রফতানি বেড়েছে। তাঁর কথায়, সম্প্রতি বাসমতি চাল রফতানি মূল্যের হিসেবে ১৯ শতাংশ বেড়েছে এবং রফতানির পরিমাণের দিক থেকে ১১ শতাংশ বেড়েছে।
তবে বাসমতি চাল নয় এমন চালগুলির রফতানির ক্ষেত্রে অন্যতম হল পারবয়েলড রাইস। সরকারের থেকে যে ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক লাগু করা হয়েছে, তাতে পারবয়েলড রাইসের রফতানির উপর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, লোহিত সাগরীয় অঞ্চলে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী হামলা চালাচ্ছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজের উপর। তাদের বক্তব্য, প্যালেস্টাইনপন্থী হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে সংহতি রেখে ইজরায়েলের সঙ্গে জড়িত জাহাজের উপর তারা হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, কোনও বাছ বিচার না করে প্রায় সব দেশের বাণিজ্যিক জাহাজের উপরেই হামলা চলছে লোহিত সাগরীয় এলাকায়।