নয়া দিল্লি: গম ও আটা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পর, সোমবার (৮ অগস্ট) ভারত সরকার এখন ময়দা, সুজি এবং ভুষিযুক্ত আটার রফতানিও নিষেধাজ্ঞা জারি করল। ১৪ আগস্ট থেকে এই আদেশ কার্যকর করা হবে। ততদিন পর্যন্ত, অর্থাৎ ৮ অগস্ট থেকে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত সময় কালে ক্ষেত্র বিশেষে ময়দা, সুজি এবং ভুষিযুক্ত আটা রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, বিজ্ঞপ্তি জারির আগে থেকে যদি কোনও জাহাজে পণ্য তোলা শুরু হয়, কিংবা কোনও চালান যদি ইতিমধ্যেই শূল্ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়ে গিয়ে থাকে এবং বিভাগের সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়ে গিয়ে থাকে, সেই ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা পণ্যগুলি রফতানি করতে দেওয়া হবে।
এখনও পর্যন্ত, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও আটা রফতানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ভারত সরকারের। গম রফতানি বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে, ভারত থেকে যেটুকু গম বা আটা রফতানি করা হয়, তা এই কমিটির সুপারিশ সাপেক্ষেই করা হয়। ১৪ অগাস্ট থেকে এই তালিকায় জুড়তে চলেছে ময়দা, সুজি এবং ভুষিযুক্ত আটাও। এই সকল পণ্যের রফতানিও এরপর থেকে কমিটির সুপারিশ সাপেক্ষেই হবে। তবে, সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, শুধুমাত্র আন্তঃমন্ত্রক কমিটি অনুমোদন দিলেই হবে না। তাদের অনুমোদনের পর আবার দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই এবং কলকাতা থেকে রফতানি পরিদর্শন পরিষদের দেওয়া গুণমানের শংসাপত্রও লাগবে।
এর আগে গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিদেশে গম রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল ভারত। নয়া দিল্লি জানিয়েছিল, তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে দেশীয় বাজারে গম ও গমজাত পণ্য়ের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এরপর জুলাই মাসের শুরুতে আটার রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। গম ও আটা – দুই পণ্যই রফতানির আগে ব্যবসায়ীদের অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিদেশি রফতানি নীতির আওতায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের পরই ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন, শুধু আটা নয়, গমজাত সব পণ্যের রফতানিই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ নতুন বিধানগুলি শুধুমাত্র আটার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না অন্যান্য সমস্ত গমজাত পণ্যের জন্যই প্রযোজ্য, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্টতা ছিল না। বস্তুত, তখন থেকেই ভারতীয় রফতানিকারকরা ভূষিযুক্ত আটা, ময়দা এবং সুজি রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা সামলানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন।