Data speed: মোবাইল ফোন বিক্রির সময়ে জানাতে হবে এই ফিচারও, বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারত সরকার
Mobile phone handsets' data speed capacities: গত কয়েক বছরে ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি। তবে, তারপরও মোবাইল ইন্টারনেটের গতি নিয়ে ভারতীয় গ্রাহকদের অভিযোগ বন্ধ হয়নি। বরং, উত্তরোত্তর তা বাড়ছে। এই অবস্থায় বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ভারত সরকার।
নয়া দিল্লি: গত কয়েক বছরে ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি। তবে, তারপরও মোবাইল ইন্টারনেটের গতি নিয়ে ভারতীয় গ্রাহকদের অভিযোগ বন্ধ হয়নি। বরং, উত্তরোত্তর তা বাড়ছে। এই অবস্থায়, মোবাইল ফোন নির্মাতাদের জন্য, তাদের ডিভাইসগুলির আপলোড এবং ডাউনলোডের গতি প্রকাশ করাটা বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে ভারত সরকার। মোবাইল ইন্টারনেটের গতি, একদিকে যেমন নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করে, তেমনই ডিভাইসের স্পেসিফিকেশনের উপরও নির্ভর করে। উন্নত ফিচার্স-সহ দামি ফোনগুলির ইন্টারনেট সিগনাল ধরার ক্ষমতা সাধারণত বেশি হয়। সূত্রের খবর, মোবাইল ইন্টারনেটের গতি নিয়ে অভিযোগের মধ্যে, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট কেনার সময়, ক্রেতারা যাতে ডিভাইসটির ইন্টারনেটের গতি সম্পর্কে জেনে নিয়ে, সেটি কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করতেই সরকার এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
বর্তমানে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের, টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারে। সরকারী কর্মকর্তাদের মতে, সরকার কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ জারি করার আগে টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারের পক্ষ থেকে সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে। এই বিষয়ে জনৈক সরকারি কর্তা বলেছেন, “দেশে ৬,০০০-২,০০,০০০ টাকার ফোন রয়েছে। ফোন কেনার সময়ে অধিকাংশ মানুষই ক্যামেরা, ব্যাটারি, বিল্ট-এর মতো ফিচারের দিকে নজর রাখেন। আমরা চাই, একইভাবে সংস্থাগুলি তাদের ডিভাইসে সর্বাধিক কত গতির ইন্টারনেট চলবে তাও জানিয়ে দিন। অর্থাৎ, মোবাইল হ্যান্ডসেটে ডেটার গতিকেও একটি অন্যতম পারফরম্যান্স সূচক হিসাবে পেশ করতে হবে। আমরা শুধু হ্যান্ডসেট নির্মাতাদের কাছ থেকে এই বিষয়ে ঘোষণা চাই। এর ফলে, হ্যান্ডসেট তৈরির খরচ খুব বেশি বাড়বে না।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মার্টফোনের ডেটা স্পিড নির্ভর করে সেই ফোনে ব্যবহৃত প্রসেসরের উপর। বর্তমানে ডিভাইস নির্মাতাদের, কোনও ডিভাইসে ব্যাটারি সুরক্ষা, বিকিরণের পরিমাণ, ভারতীয় ভাষা সমর্থন, মোবাইল ইমার্জেন্সি সাপোর্টের মতো বিষয়গুলি আছে কি না, সেই সম্পর্কে বাধ্যতামূলক তথ্য দিতে হয়। সেই তালিকাতেই যুক্ত হতে পরে ডেটা ডাউনলোড এবং আপলোডিং স্পিড। তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার যদি এই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করে, তাহলে গ্রাহকরা হ্যান্ডসেটের ডেটা কমিউনিকেশন পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ফোন পছন্দ করতে পারবেন। এতে নিঃসন্দেহে গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। তবে, এর ফলে মোবাইল ফোন সংস্থাগুলির খরচ বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি সরকার বলে, পরীক্ষার ভিত্তিতে এই বিষয়ে শংসাপত্র দাখিল করতে হবে, সেই ক্ষেত্রে খরচ তো বাড়বেই।