নয়া দিল্লি: দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত মানুষের একমাত্র ভরসা দূরপাল্লার ট্রেন। এই দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট নিয়েই বড় ঘোষণা করা হল। এবার থেকে টিকিট ক্যানসেল করলে দিতে হবে না কোনও অতিরিক্ত চার্জ বা ফি। যাত্রীদের আবেদনের ভিত্তিতেই এই টিকিট বাতিলের নিয়মে পরিবর্তন রয়েছে।
ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে টিকিট বাতিলের ক্ষেত্র অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না। তবে এই নিয়ম প্রযোজ্য আরএসি বা ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিটের জন্য। কনফার্ম টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। অর্থাৎ যে যাত্রীদের নাম ওয়েটিং লিস্ট বা আরএসি (RAC)-তে থাকবে, তারা টিকিট বাতিল করলে, ক্যানসেলেশন চার্জ বাবদ কোনও অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হবে না।
টিকিট বাতিল ফি থেকে ভারতীয় রেল প্রচুর আয় করলেও, যাত্রীদের পকেটে প্রভাব ফেলছিল এই নিয়ম। এতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েন এসি কোচের যাত্রীরা। RTE-এর অধীনে তথ্য চাওয়ার পরে, রেলওয়ের তরফে টিকিট বাতিলের নিয়মে পরিবর্তন করা হয়েছে।
ভারতীয় রেলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন টিকিট বাতিল করার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে ৬০ টাকা নেওয়া হবে। স্লিপার ক্লাসের যাত্রীদের জন্য ১২০ টাকা, তৃতীয় এসি টিকিট বাতিলের জন্য ১৮০ টাকা, দ্বিতীয় এসি টিকিট বাতিলের জন্য ২০০ টাকা এবং প্রথম এসি টিকিট বাতিলের জন্য ২৪০ টাকা কাটা হবে। আগে আরএসি টিকিট বা ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট বাতিল করার জন্যও পরিষেবা কর এবং অন্যান্য চার্জ কাটত ভারতীয় রেলওয়ে। এবার আর সেই টাকা কাটা হবে না।
জানা গিয়েছে, সুনীল কুমার খান্ডেলওয়াল নামে ঝাড়খণ্ডের এক সমাজকর্মী তথ্যের অধিকারের আবেদনটি করেছিলেন। ট্রেনের টিকিট বাতিল করার জন্য ফি হিসেবে কত টাকা আদায় করা হয়েছে, তার তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তথ্য পেয়ে তিনি অভিযোগ করেন, রেলওয়ে শুধু টিকিট বাতিলের চার্জ থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করছে এবং যাত্রীদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। একজন যাত্রী ১৯০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনলে এবং পরে কনফার্ম আসন না পেয়ে তিনি যখন টিকিট বাতিল করেন, তখন তিনি মাত্র ৯৫ টাকা ফেরত পান।
ওই সমাজকর্মীর তুলে ধরা বিষয়টির পরই রেলের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।