IPO news: ১ বছরে ৮২টি IPO, সংগ্রহ হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকা, এখানেই শেষ নয়
IPO news: ২০২৩-এর দীপাবলি থেকে ২০২৪-এর দীপাবলি পর্যন্ত, ভারতীয় প্রাথমিক বাজারে উল্লেখযোগ্য কার্যকলাপ দেখা গিয়েছে। সম্বত ২০৮০-এর সময় ৮২টি কোম্পানি ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাজাজ হাউজিং ফাইন্যান্স লিমিটেডের আইপিও ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। ৬,৫৬০ কোটি টাকার অফারের জন্য ৩.২ লক্ষ কোটি টাকার দর আকর্ষণ করেছে।
মুম্বই: ভারতীয় প্রাথমিক বাজারের জন্য একটি ব্লকবাস্টার বছর হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে সম্বত ২০৮০, অর্থাৎ, ২০২৩-এর দীপাবলি থেকে ২০২৪-এর দীপাবলি। এখনও পর্যন্ত , ৮২টি সংস্থা ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, বছর শেষ হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক পাবলিক অফার বা আইপিও সাবস্ক্রিপশনের জন্য খোলা থাকে।
সম্বত ২০৮০-তে প্রধান আইপিও
সবার আগে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার অটোমেকার হুন্ডাই মোটরস। ২৭,০০০ কোটি টাকার আইপিও নিয়ে ভারতীয় বাজারে প্রবেশ করেছে তারা। এটাই এই পথের মাধ্যমে উত্থাপিত সবচেয়ে বড় অঙ্কের আইপিও।
অন্যদিকে, বাজাজ হাউজিং ফাইন্যান্স লিমিটেডের আইপিও নিয়েও দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাদের ৬,৫৬০ কোটি টাকার অফারের জন্য ৩.২ লক্ষ কোটি টাকার দর আকর্ষণ করেছে। এই আইপিও-টি প্রায় ৯০ লক্ষ অ্যাপ্লিকেশন পেয়েছে। এর আগে সবথেকে বেশি অ্যাপ্লিকেশন পাওয়ার রেকর্ড ছিল টাটা টেকনোলজিসের। তারাও একই সম্বত বছরে আইপিও চালু করেছে। তবে, বাজাজ হাউজিং ফাইন্যান্স লিমিটেডের আইপিও সেই রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছে।
এই বছর পাবলিক হওয়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলির মধ্যে রয়েছে ভারতী হেক্সাকম, ইন্ডিয়ান রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (আইআরইডিএ), গো ডিজিট জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ব্রেইনবিস সলিউশনস (ফার্স্টক্রাই), ওলা ইলেকট্রিক মোবিলিটি, আধার হাউজিং ফাইন্যান্স এবং প্রিমিয়ার এনার্জি। এছাড়া, ভোডাফোন আইডিয়া ১৮,০০০ কোটি টাকার ফলো-অন পাবলিক অফার বা এফপিও পরিচালনা করেছে।
সম্বত ২০৮১-র জন্য আইপিও মার্কেট আউটলুক
সম্বত ২০৮১-তে ভারতীয় বাজারের সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী বিশ্লেষকরা। তারা আশা করছে, আরও কোম্পানি আইপিও রুটের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করতে চাইবে।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি, বিশাল মেগা মার্ট, এনটিপিসি গ্রিন এনার্জি, ওএনজিসি গ্রিন এনার্জি, সতলুজ জল বিদ্যুৎ নিগম এবং সুইগি পাবলিক অফার নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এছাড়াও, ২৮টি কোম্পানি ইতিমধ্যেই সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা সেবি (SEBI) থেকে পাবলিক অফারিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৪৯,৮৮৯ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন পেয়েছে। প্রাইম ডেটাবেসের তথ্য অনুসারে ইতিমধ্যে, প্রায় ৬৩টি কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে প্রায় ৯০,৬০৮ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য নিয়ন্ত্রক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বাজার কর্মক্ষমতার ড্রাইভিং ফ্যাক্টরগুলি
সেকেন্ডারি মার্কেটের অনুকূল পরিস্থিতি, যথেষ্ট তারল্য, নিয়ন্ত্রক সংস্কার এবং বর্ধিত স্বচ্ছতার জন্যই প্রাথমিক বাজারের এই শক্তিশালী পারফরম্যান্স বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। এই বিষয়গুলিই বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।