আয়ের পাশাপাশি সঞ্চয়ও জরুরি। দেশে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির চাপে জর্জরিত সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আয়ের সিংহ ভাগ বেরিয়ে যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই। ফলে আয়ের খরচ থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ সরিয়ে সঞ্চয় করা সম্ভব হচ্ছে না অনেকাংশেই। কিন্তু ভবিষ্যতে সুরক্ষিত করার জন্য সঞ্চয় অত্যাবশক। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প হতে পারে এলআইসি। বেশিরভাগ মানুষই এলআইসিতে বিনিয়োগ করে থাকেন ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য।
বেতনভোগীদের অধিকাংশই অবসরের পর নিয়মিত আয় নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। বেসরকারি খাতে কর্মরতদের ব্যক্তিদের জন্য এই সমস্যা বেশি। কারণ তারা সরকারি কর্মচারীদের মতো মাসে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেনশন পান না। বেতনের মতো দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য নিয়মিত কোনও আয় থাকে না। এরকম অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য সমাধান হিসেবে একটি বিকল্প হতে পারে এলআইসি জীবন সরল। এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো প্রিমিয়ামের পরিমাণ বেছে নিতে পারেন। বিনিয়োগকারীরা এতে ৪০ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন।
এলআইসি সরল পেনশন যোজনা :
এলআইসি-র ওয়েবসাইট অনুসারে, এলআইসি সরল পেনশন যোজনা একটি বার্ষিক প্রকল্প। এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারীকে একবারই টাকা জমা দিতে হয়। এটি একটি সিঙ্গল প্রিমিয়াম পেনশন প্ল্যান। এই প্ল্যানে কেবলমাত্র একবারই প্রিমিয়াম দিতে হয়। আর বাকি জীবন আয় করে যেতে পারেন। এটি একটি তাৎক্ষণিক অ্যানুইটি প্ল্যান। অর্থাৎ, এই পলিসিতে নিজের নাম নথিভুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই বিনিয়োগকারী পেনশন পেতে শুরু করেন।
পলিসির নিয়ম নীতি :
এই পলিসির দুই ধরনের প্রিমিয়াম রয়েছে। একটি সিঙ্গল লাইফ এবং আরেকটি জয়েন্ট লাইফ।
সিঙ্গল লাইফ : এক্ষেত্রে পলিসি হোল্ডারদের নামেই এই পলিসি থাকবে। কোনও পরিস্থিতিতেই এই পলিসি অন্য কোনও ব্যক্তির নামে করা যাবে না। যতদিন পেনশনভোগী জীবিত থাকবেন তিনি ততদিনই এই পলিসির অধীনে পেনশন পাবেন। তাঁর মৃত্যুর পর ‘বেস প্রিমিয়ামের’ অর্থ তাঁর নমিনির কাছে চলে যাবে।
জয়েন্ট লাইফ : এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই কভারেজ থাকে। যতদিন প্রাইমারি পেনশনভোগীরা জীবিত থাকবেন তাঁরা পেনশন পাবেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গী বাকি জীবনের জন্য পেনশন পাবেন। পরবর্তী পেনশনভোগীর মৃত্যু হলে বেস প্রিমিয়াম নমিনির হাতে তুলে দেওয়া হবে।
বয়সসীমা :
এই স্কিমের সুবিধা ভোগ করার জন্য ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০ বছর। সর্বাধিক বয়স হবে ৮০ বছর।
এই পলিসির সুবিধা :
পেনশন স্কিম :
যদি কোনও ব্যক্তি এই স্কিমে ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে তিনি প্রতি বছর ৫২,৫০০ টাকা করে পেনশন পাবেন। তবে আপনি যদি মাঝে এই স্কিম থেকে নাম তুলে নিতে চান তাহলে বেস প্রিমিয়াম থেকে ৫ শতাংশ কেটে বাকিটা আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে।