Ratan Tata’s Firearms: রতন টাটার ছিল তিন-তিনটি বন্দুক, কে পেলেন সেগুলি জানেন?

Ratan Tata's Firearms: তাঁর কাছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল - একটি পিস্তল, একটি শটগান এবং একটি রাইফেল। এই তিনটি মূল্যবান আগ্নেয়াস্ত্র কে পেলেন? টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই আগ্নেয়াস্ত্র তিনটি এবং রতন টাটার আলিবাগের সমুদ্র সৈকতের ধারের বাড়ি-সহ তাঁর অনেক সম্পত্তিই পেয়েছেন তাঁর বিশ্বস্ত আস্থাভাজন এবং দীর্ঘদিনের এক বন্ধু।

Ratan Tata's Firearms: রতন টাটার ছিল তিন-তিনটি বন্দুক, কে পেলেন সেগুলি জানেন?
Image Credit source: Getty Images
Follow Us:
| Updated on: Nov 04, 2024 | 7:57 PM

মুম্বই: রতন টাটার মৃত্যুর পর, তাঁর সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা চলছে। তাঁর বিভিন্ন সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বেছে নিয়েছিলেন অবিবাহিত এবং নিঃসন্তান রতন টাটা। তাঁর কাছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল – একটি পিস্তল, একটি শটগান এবং একটি রাইফেল। এই তিনটি মূল্যবান আগ্নেয়াস্ত্র কে পেলেন? টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই আগ্নেয়াস্ত্র তিনটি এবং রতন টাটার আলিবাগের সমুদ্র সৈকতের ধারের বাড়ি-সহ তাঁর অনেক সম্পত্তিই পেয়েছেন তাঁর বিশ্বস্ত আস্থাভাজন এবং দীর্ঘদিনের বন্ধু মেহলি মিস্ত্রি।

কে এই মেহেলি মিস্ত্রি?

মেহলি মিস্ত্রি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি রতন টাটার অত্যন্ত অনুগত বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, প্রয়াত সাইরাস মিস্ত্রির খুড়তুতো ভাই তিনি। মজার বিষয়, ২০১৬ সালে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাইরাস মিস্ত্রিকে যখন সরিয়ে দিয়েছিলেন রতন টাটা, সেই সময়ও রতন টাটার পাশেই ছিলেন মেহেলি। টাটা গোষ্ঠীর দুটি প্রধান জনহিতৈষী সংস্থা – স্যার দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট এবং স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের বোর্ড সদস্য তিনি। মুম্বইয়ের কোলাবায় বখতাওয়ার ভবনে পাশাপাশি থাকতেন রতন টাটা এবং মেহেলি মিস্ত্রি। সেই সময় থেকেই দুজনের মধ্যে এক দৃঢ় বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। ২০১২ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অবসর নেন রতন টাটা। এরপর, হালেকাইয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাতে তাঁদের বন্ধুত্বে কোনও ছেদ পড়েনি।

রতন টাটার তিন আগ্নেয়াস্ত্র

ভারতের প্রথম দিককার বন্দুকের লাইসেন্সধারীদের অন্যতম ছিলেন রতন টাটা। তবে, তিনি আগ্নেয়াস্ত্রগুলি খুব কমই ব্যবহার করতেন। সূত্র মতে, এই অস্ত্রগুলি রতন টাটার কাছে নিছক সম্পত্তি ছিল না। এগুলি ছিল তাঁর নিকটজনদের সঙ্গে তাঁর সংযোগের প্রতীক। আসলে, প্রতিটি আগ্নেয়াস্ত্রই ছিল অনন্য উত্তরাধিকারের। পিস্তলটি ছিল টাটা মোটরসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা শিকারী, প্রয়াত সুমন্ত মুলগাওকরের কাছ থেকে পাওয়া উপহার। শটগানটি ছিল রতন টাটার বাবা নেভিল টাটার। আর তৃতীয় আগ্নেয়াস্ত্রটি, টাটা গ্রুপের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী চেয়ারম্যান, জেআরডি টাটা উইল করে দিয়ে গিয়েছিলেন রতন টাটাকে।

আইনি ঝামেলা

রতন টাটা, তাঁর উইলে এই জিনিসগুলি মেহেলি মিস্ত্রিকে দিয়ে গিয়েছেন। তবে আইনিভাবে সেগুলির দখল পেতে গেলে, আগে মেহেলি মিস্ত্রিকে লাইসেন্স বের করতে হবে। ভারতে আগ্নেয়াস্ত্রর লাইসেন্স পেতে গেলে স্পষ্ট উদ্দেশ্য দেখাতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে আত্মরক্ষা, খেলাধুলা বা শোভাময় ব্যবহার। সূত্রের খবর, মেহেলি মিস্ত্রি রতন টাটার কাছ থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রগুলিকে সম্ভবত শোভাময় ব্যবহারের জন্য নিবন্ধন করবেন। সেই ক্ষেত্রে, পুলিশ সেগুলির ফায়ারিং পিনগুলি নিষ্ক্রিয় করে, সেগুলিকে অকেজো করে দেবে।