কলকাতা: চাল থেকে ডাল, মশলা, শাক-সবজির বিগত কয়েক মাসে সব কিছুর দাম-ই হু হু করে বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। আর তাতেই যেন রান্নার কাঁচামালের জোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত বাড়ির কর্তারা। ঘাম ঝরছে গৃহিণীদেরও। যদিও ইতিমধ্যেই ভারত ব্র্যান্ডের পণ্য এনে মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে চাইছে সরকার। যদিও বাজার বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে এ যেন পর্বতের মুষিক প্রসবের সামিল। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। বিশ্বজোড়া মন্দা, চড়া মুদ্রস্ফীতির বাজারে এবার আসন বাজট থেকে মুক্তির অক্সিজেন চাইছে মধ্যবিত্ত। সকলের একটাই কথা, দাম কমুক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। নাহলে তো বেঁচে থাকাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গতবারের বাজেটে মহিলা সম্মান সেভিং সার্টিফিকেট স্কিম ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এখানে টাকা রাখলে বার্ষিক সাড়ে সাত শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। স্কিমের মেয়াদ ২ বছর। যদিও এই প্রকল্পে এখনও অ্য়াকাউন্ট নেই দেশের বড় অংশের মহিলাদের। কেউ কেউ আবার বলছেন, চড়া মুদ্রাস্ফীতির আবহে এই সুদের হারে চিড়ে বিশেষ ভিজবে না। অনেকেই আবার চাইছেন কিষাণ সম্মান নিধির মতো গৃহিণীদের জন্য একটি জনমোহিনী প্রকল্প শুরু করুর সরকার। তাহলে খানিকটা উপকৃত হতে পারেন দেশের মহিলারা।
ডাল, মশলা, শাকসবজির মুদ্রাস্ফীতি সবকিছুই ৩০ শতাংশ ছুঁয়েছে। মধ্যবিত্তদের আশা শীঘ্রই বাজারে কম দামে খাদ্যপণ্য আনুক সরকার। কেমল ভারত ব্রান্ড নাম নয়, চাই সামগ্রিক পরিকল্পনা। তাহলে খানিকটা হলেও চড়া দামের নাগপাশ থেকে মুক্তি পেতে পারে জনতা। লোকসভা ভোটের আগে বাজেট নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়লেও শেষ পর্যন্ত সরকারের তরফে কী ঘোষণা করা হয় সেটাই দেখার।