Wipro-এ চাকরি করতে চেয়েছিলেন নারায়ণ মূর্তি, সুযোগ দেননি আজিম প্রেমজি!

Infosys: আইআইএম আহমেদাবাদে রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হিসাবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন নারায়ণ মূর্তি। পরে তিনি সফট্রোনিক্স নামে একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা শুরু করেন, যা কিছুদিনের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর ১৯৮১ সালে ছয় বন্ধুকে নিয়ে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠা করেন নারায়ণ মূর্তি। তাঁকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করেছিলেন তাঁর স্ত্রী সুধা মূর্তি।

Wipro-এ চাকরি করতে চেয়েছিলেন নারায়ণ মূর্তি, সুযোগ দেননি আজিম প্রেমজি!
কেন নারায়ণ মূর্তিকে চাকরি দেননি আজিম প্রেমজি?Image Credit source: TV9 Bangla

|

Jan 14, 2024 | 11:18 AM

নয়া দিল্লি: সেদিন যদি উইপ্রোয় চাকরি পেতেন, তবে আজ অস্তিত্বই থাকত না ইনফোসিসের! বিরাট এক সত্য সামনে আনলেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি। শনিবার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কর্মজীবনের শুরুতে তিনি উইপ্রোয় চাকরির আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন উইপ্রোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি। পরে যদিও আজিম প্রেমজি নারায়ণ মূর্তিকে বলেছিলেন, “তাঁকে চাকরি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।”

সম্প্রতিই একটি সাক্ষাৎকারে ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি বলেন, “আজিমজি একসময় আমায় বলেছিলেন যে তাঁর জীবনের অন্যতম ভুল ছিল আমায় চাকরি না দেওয়া। যদি আমি উইপ্রোয় চাকরি পেতাম, তাহলে আমার ও প্রেমজির কোম্পানির ভবিষ্যত হয়তো অন্যরকম হত।”

প্রসঙ্গত, আইআইএম আহমেদাবাদে রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হিসাবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন নারায়ণ মূর্তি। সহকর্মীদের সঙ্গেই তিনি ভারতের প্রথম বেসিক ইন্টারপ্রেটার তৈরি করেছিলেন। এরপরে তিনি সফট্রোনিক্স নামে একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা শুরু করেন, যা কিছুদিনের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে। এরপর ১৯৮১ সালে ছয় বন্ধুকে নিয়ে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠা করেন নারায়ণ মূর্তি। তাঁকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করেছিলেন তাঁর স্ত্রী সুধা মূর্তি।

অন্যদিকে, আজিম প্রেমজিও তাঁর পৈত্রিক ভোজ্য তেলের কোম্পানিকে সফটওয়্যার কোম্পানিতে পরিণত করেছিলেন।২০১৯ সালে আজিম প্রেমজির জায়গায় উইপ্রোর দায়িত্ব নেন তাঁর ছেলে রিশাদ প্রেমজি। নারায়ণ মূর্তির ছেলে রোহন মূর্তিও একই পথে হেঁটে ইনফোসিসের দায়িত্ব নেবেন কি না, এই সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে নারায়ণ মূর্তি বলেন, “রোহন কোনওদিন ইনফোসিসের অংশ হতে চাইবে না। আমার মনে হয়, এইসব নীতিগত ক্ষেত্রে ও আমার থেকেও বেশি কড়া।”

২০২৪ সালের গোড়ায় দাঁড়িয়ে ইনফোসিসের বাজারমূল্য ৬.৬৫ লক্ষ কোটি। অন্যদিকে, উইপ্রোর বাজারমূল্য ২.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা।