নতুন শ্রম বিধি বলবৎ হতে চলেছে সমগ্র দেশে। এই বিধি কার্যকর হলে প্রভাব পড়বে আপনার মাসিক বেতনেও। শুধুমাত্র পে স্লিপ, গ্র্যাচুইটির পরিমাণ থেকে শুরু করে টিডিএস (TDS) এ অনেক পরিবর্তন আসবে। পে স্লিপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভাগ হল মূল বেতন (Basic Salary), ভাতা (Allowance), HRA , পরিবহণ খরচ (Conveyance), পিএফ, কর্মীদের গ্রুপ বিমা ও TDS। নতুন শ্রম বিধি কার্যকর হলে এই বিষয়গুলিতে আসতে পারে পরিবর্তন। নিজের পে স্লিপে কী কী পরিবর্তন আসতে পারে বিস্তারিত জেনে নিন…
বেসিক স্য়ালারি :
পুরো বেতনের (Gross Salary) ১০ থেকে ৪০ শতাংশ হল বেসিক স্যালারি। নিয়ম অনুযায়ী, কর্মীদের নিজেদের বেতন থেকে যে পরিমাণ প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা পড়ে তা এই বেসিক স্য়ালারির ১২ শতাংশ হতে হয়। যত শতাংশ টাকা কর্মীদের থেকে জমা পড়ে ঠিক তত পরিমাণ টাকা নিয়োগকারীর সংস্থার তরফে প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা পড়ে। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের বেতন সংক্রান্ত শ্রমবিধিতে বলা হয়েছে, মোট বেতনের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হতে হবে বেসিক স্যালারি। বেসিক স্যালারিতে পরিবর্তন হওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসবে। সবথেকে বড় যে পরিবর্তন আসতে পারে ইন হ্যান্ড স্য়ালারির ক্ষেত্রে। কমতে পারে হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ।
প্রভিডেন্ট ফান্ড :
বেসিক স্যালারির উপর ভিত্তি করে প্রভিডেন্ট ফান্ডের কন্ট্রিবিউশন নির্ধারণ করা হয়। বেসিক স্যালারির বৃদ্ধির ফলে বাড়বে প্রভিডেন্ট ফান্ডের পরিমাণ। তাতে কর্মচারীদের ভবিষ্যত নিশ্চিত হবে ঠিকই। তবে তার প্রভাব পড়তে পারে ইন-হ্যান্ড স্যালারিতে। কারণ বেশি পরিমাণ পিএফ কাটা হবে।
কর দায়বদ্ধতা :
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, বেসিক স্যালারি বাদে বোনাস ও HRA-র কিছু অংশ করহীন। তবে বেসিক স্যালারি বৃদ্ধির ফলে করও বাড়বে। এই পরিবর্তনের ফলে করহীন অংশটুকুও কমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই নয়া বিধিতে HRA-তে করের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
ভাতা ও পরিবর্তনশীল :
বেসিক স্য়ালারি বৃদ্ধি হলে কোনও সংস্থা অন্যান্য খাতে খরচ কমানোর কথা ভাববে। বর্তমানে মোট বেতনের ১০ থেকে ৪০ শতাংশ হয় বেসিক স্যালারি। বাকি কোনও সংস্থা বাকিটা ভাতা, পরিবহণ খরচ, বিশেষ ভাতা, ফোনের বিল, HRA এর মাধ্যমে পূরণ করা হয়। তাই বেসিক স্য়ালারি বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই ভাতার পরিমাণ কমবে।