Budget 2023: এই ৯ বাজেট যেন ইতিহাসের বাঁক, বদলে দিয়েছে ভারতকে, দেখুন ছবিতে ছবিতে
TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী
Jan 31, 2023 | 7:58 PM
Nine significant budgets in India’s history: ভারতের প্রথম বাজেটে রাজস্ব সংগ্রহের অনুমান ছিল মাত্র ১৭১.১৫ কোটি টাকা। এক নজরে দেখে নিন স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ৯ বাজেট।
স্বাধীন ভারতের প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছিলেন দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী আরকে শানমুখম চেট্টি। ১৯৪৭-এর ১৫ অগস্ট থেকে ১৯৪৮ সালের ৩১ মার্চ – মাত্র সাড়ে সাত সাত মাসের জন্য এই বাজেট তৈরি করা হয়েছিল। মোট সম্ভাব্য রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৭১.১৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি রাজস্ব ঘাটতি ছিল ২০৪.৫৯ কোটি টাকা। (ছবি সৌজন্য: টুইটার/ IndiaHistorypic)
ভারতীয় প্রজাতন্ত্র গঠন হওয়ার পর, ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জন মাথাই। প্ল্যানিং কমিশন গঠনের রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছিল এই বাজেটে। স্বাধীনতার পরের কয়েক বছরে ভারতীয় অর্থনীতিকে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, উচ্চ ব্যয়, নিম্ন সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ এবং উৎপাদনের অভাবের মতো সমস্যাগুলির মোকাবিলা করতে হয়েছিল। তাই দেশের বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনাকারী একটি সংস্থা গঠনের প্রয়োজন ছিল। ভারতের আজকের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কৃতিত্ব এই প্ল্যানং কমিশনেরই। (ছবি সৌজন্য: কনস্টিটিউশন ডট নেট)
১৯৫৭ সালের ১৫ মে বাজেট পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তিরুভেলোর থাতাই কৃষ্ণমাচারি। এই বাজেটে লাইসেন্সিং ব্যবস্থা চালু করে আমদানির উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। সরকারের মূল প্রকল্প নয়, এমন প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারীদের ঝুঁকি কমাতে এক্সপোর্ট রিস্ক ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন গঠন করা হয়েছিল। পাশাপাশি, এই বাজেটে সম্পদ কর এবং ব্যয়ের উপর কর চালু করা হয়েছিল। বাড়ানো হয়েছিল আবগারি করের হারও। কিন্তু আমদানি নিষেধাজ্ঞা এবং উচ্চ হারে কর জারির ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল। বৈদেশিক ঋণ পাওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠেছিল। (ছবি সৌজন্য: টুইটার /@IndiaHistorypic)
১৯৬৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করেছিলেন ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মোরারজি দেশাই। এই বাজেটে কারখানার গেটেই আবগারি বিভাগের পক্ষ থেকে স্ট্যাম্পিং এবং পণ্যের মূল্যায়ন ব্যবস্থার অবসান ঘটানো হয়েছিল। বড়, ছোট সকল উৎপাদনকারীদের জন্য পণ্যের স্ব-মূল্যায়নের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এই ব্যবস্থা আজও চালু রয়েছে। এই ব্যবস্থা চালুর কারণেই দেশের উত্পাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। (ছবি সৌজন্য: টুইটার/@IndiaHistorypic)
১৯৭৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্তরাও চভন। এই বছর, বাজেট ঘাটতি ছিল ৫৫০ কোটি টাকার। বীমা সংস্থাগুলি, ইন্ডিয়ান কপার কর্পোরেশন এবং কয়লা খনির জাতীয়করণের জন্য ৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল এই বাজেটে। বিদ্যুৎ, সিমেন্ট এবং ইস্পাতের মতো শিল্পে কয়লার চাহিদা ক্রমে বাড়ছিল। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কয়লার সরবরাহ যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে, তার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। (ছবি সৌজন্য: টুইটার/@INCinHistory)
রাজীব গান্ধী সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৮৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছিলেন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং। এই বাজেটে লাইসেন্স রাজের বিলুপ্তির সূচনা হয়েছিল। এই বাজেটে প্রধান পরোক্ষ কর সংস্কারেরও সূচনা হয়েছিল। (ছবি সৌজন্য: উইকিমিডিয়া কমন্স)
কংগ্রেস থেকে ভিপি সিং ইস্তফা দেওয়ার পর অর্থমন্ত্রক নিজের হাতেই রেখেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। ১৯৮৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি যে বাজেট পেশ করেছিলেন, তাতে ন্যূনতম কর্পোরেট করের বিধান চালু করা হয়েছিল। এর আগে পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থা আইনের ফাঁক খুঁজে আয়কর প্রদান এড়িয়ে যেত। এই লাভজনক সংস্থাগুলিকে কর ব্যবস্থার আওতায় আনার উদ্দেশ্যেই কর্পোরেট কর চালু করা হয়েছিল। বাজেটের অনুমান ছিল এইভাবে ৭৫ কোটি টাকা মতো রাজস্ব আদায় হতে পারে। পরবর্তী ক্ষেত্রে এই কর সরকারের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে। (ছবি সৌজন্য: উইকিমিডিয়া কমন্স)
১৯৯১ সালের ২৪ জুলাই বাজেট পেশ করেছিলেন নরসিমা রাও সরকারের অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং। এই বাজেটে আমদানি-রফতানি নীতির সংশোধন করা হয়েছিল। ভারতীয় অর্থনীতিতে লেগেছিল উদারনীতির হাওয়া। ভারতীয় শিল্পের জন্য খুলে গিয়েছিল বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র। (ছবি সৌজন্য: এপি)
২০০০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। এই বাজেটের লক্ষ্য ছিল ভারতকে, বিশ্বের অন্যতম প্রধান সফ্টওয়্যার উন্নয়ন কেন্দ্র হিসাবে উন্নীত করা। এর জন্য সফটওয়্যার রপ্তানিকারকদের জন্য মনমোহন সিং যে আর্থিক প্রণোদনা চালু করেছিলেন, সেগুলি পর্যায়ক্রমে বাতিল করা হয়। অর্থনীতিবিদদের মতে ভারতকে বিশ্বব্যাপী একটি প্রধান সফ্টওয়্যার হাব হিসাবে গড়ে তোলার কৃতিত্ব যদি মনমোহন সিং-এর হয়, তাহলে যশবন্ত সিনহা এই ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিলেন। (ছবি সৌজন্য: এপি)