কলকাতা: সামনেই বাজেট। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বাজেট ঘিরে আশা-আকাঙ্খার শেষ নেই দেশবাসীর। এরইমধ্যে শোনা যাচ্ছে এবারের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সীমা ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা করতে পারেন। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা তোলা, তোলার আবেদনের ক্ষেত্রে নানা বদল এসেছে। এবার একেবারে বড় বদল নিয়ে জল্পনা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে।
প্রায় এক দশক আগে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পিএফ সীমা ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছিল। অর্থাৎ, যাদের বেতন ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত তাঁদের পিএফ অ্য়াকাউন্ট খোলা ছিল বাধ্যতামূলক। কিন্তু, তার উপরে যাদের বেতন ছিল তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টা ছিল ঐচ্ছিক। অর্থাৎ কারও মনে হলে খুলতে পারেন, নাও খুলতে পারেন। কিন্তু সূত্রের খবর, এখন শ্রম মন্ত্রক এটি বাড়ানোর প্রস্তাব তৈরি করে ফেলেছে। ২৩ জুলাই নির্মলা তাঁর সপ্তম বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন। নির্মলা সীতারামনই হবেন দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী যিনি টানা ৭ বার বাজেট পেশ করার রেকর্ড তৈরি করবেন। তাঁর হাত ধরেই হতে পারে বেশ কিছু বড় বড় ঘোষণা।
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) স্কিম, ১৯৫২ অনুসারে যদি কোনও সংস্থার কোনও কর্মীর বেতন প্রতি মাসে ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা, সেই কর্মচারীকে পিএফ দেওয়া হয়। বেশি বেতনের কর্মীরাও চাইলে খুলতে পারেন। এর জন্য তাঁদের বেতনের ১২ শতাংশ দিতে হয় ওই তহবিলে। অন্যদিকে নিয়োগকর্তারাও দেন ১২ শতাংশ। দুইয়ে মিলিয়ে হয় পিএফ ফান্ড। এই স্কিমের অধীনে থাকা কর্মচারীরা বাড়ি কেনা বা তৈরি, চিকিৎসা বা শিক্ষার খরচ মেটানোর পাশাপাশি বিবাহ সংক্রান্ত খরচ-সহ বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্যে জমা থাকা অর্থ তুলতে পারেন। মহামারির পর থেকে, অনেক কর্মচারী কোভিড সংক্রান্ত খরচ মেটাতে তাদের পিএফ-এর টাকা তুলেছেন। অন্যদিকে PF জমা করা অর্থের উপর বার্ষিক সুদও পাওয়া যায়। যা দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চয়ের জন্য অনেকটাই লাভজনক। এতদিন যে সীমা ১৫ হাজার অবধি ছিল তা বাড়িয়ে ২৫ হাজার করা হলে আরও বেশি মানুষ পিএফ এর আওয়াত আসবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।