AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rail Wheels: বাংলায় তৈরি হবে বন্দে ভারতের চাকা, বরাত পেল রামকৃষ্ণ ফোর্জিং-টিটাগড় ওয়াগন

Indian Railways: উৎপাদন শুরুর প্রথম বছরে মোট ৪০ হাজার চাকা উৎপাদন করে ভারতীয় রেলকে সরবরাহ করবে এই সংস্থা। পরের বছর উৎপাদন বাড়িয়ে ৬০ হাজার চাকা উৎপাদন করা হবে। এরপর তৃতীয় বছর থেকে ৮০ হাজার করে চাকা উৎপাদন করবে এই দুই সংস্থা।

Rail Wheels: বাংলায় তৈরি হবে বন্দে ভারতের চাকা, বরাত পেল রামকৃষ্ণ ফোর্জিং-টিটাগড় ওয়াগন
ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2023 | 8:00 AM
Share

কলকাতা: আরও আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদী(PM Narendra Modi)-র মন্ত্রে দেশীয় প্রযুক্তিতেই তৈরি করা হচ্ছে অত্য়াধুনিক জিনিসপত্র। এবার রেলের ক্ষেত্রেও বিদেশের উপরে নির্ভরশীলতা কমাচ্ছে ভারত। জানা গিয়েছে, এবার থেকে ভারতীয় রেলে ব্য়বহৃত চাকা (Wheels) উৎপাদন করা হবে দেশের অন্দরেই। তাও আবার রাজ্যেই। পশ্চিমবঙ্গের রামকৃষ্ণ ফোর্জিং ও তাদের সহকারী সংস্থা টিটাগড় ওয়াগনস (Titagarh Wagons) এই চাকা তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে।

রেল মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতিই রেলের চাকা তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে দর ডাকা হয়েছিল। সেখানেই গত ১৫জুন রামকৃষ্ণ ফোর্জিং ও টিটাগড় ওয়াগনস সংস্থা কম থেকে কম দরপত্র দিয়ে এই বরাত পেয়েছে। আগামী ২০ বছরের মধ্যে এই দুই সংস্থা মিলিতভাবে ১৫.৪ লক্ষ চাকা উৎপাদন করবে। এর জন্য খরচ হবে ১২,২২৬.৫ কোটি টাকা।

জানা গিয়েছে, উৎপাদন শুরুর প্রথম বছরে মোট ৪০ হাজার চাকা উৎপাদন করে ভারতীয় রেলকে সরবরাহ করবে এই সংস্থা। পরের বছর উৎপাদন বাড়িয়ে ৬০ হাজার চাকা উৎপাদন করা হবে। এরপর তৃতীয় বছর থেকে ৮০ হাজার করে চাকা উৎপাদন করবে এই দুই সংস্থা।

কোন কোন ট্রেনে ব্যবহৃত হবে ওই চাকা?

জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত থেকে শুরু করে আধুনিক এলএইচবি কোচ ও ডব্লিউএজি-৯ সিরিজের কামরায় এই চাকাগুলি ব্যবহার করা হবে।

হঠাৎ রেলের চাকায় আত্মনির্ভরতা কেন?

বুলেট ট্রেনের অনুপ্রেরণায় ২০২২ সালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করার পরিকল্পনা ছিল। ইউক্রেন থেকে এই চাকা আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জেরে সেই আমদানি আটকে যায়। সেই সময়ে কোনও রকমে চাকা এনে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া গিয়েছিল। বিকল্প খুঁজতে যখন তারা ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে খোঁজ নেন, তখন দেখা যায় চাকার চড়া দাম। এরপরই ভারতে চাকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।