নয়া দিল্লি : এখন থেকে আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন কেনাকাটি আরও সহজ। ১ জানুয়ারি থেকে অ্যামাজ়ন, ফ্লিপকার্ট, মন্ত্রা বা বিগ বাস্কেটের মতো অনলাইন কেনাকাটির ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার করা আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। সৌজন্যে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআইয়ের তরফে আর্থিক লেনদেনে যে নতুন পদ্ধতি নিয়ে আসা হচ্ছে, তারই একটি সুফল হল এটি। আর এই নতুন পদ্ধতি শুধু সহজই নয়, সেই সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যকে আরও সুরক্ষিত করবে এই নতুন লেনদেনর পদ্ধতি।
এই ধরনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য, আপনাকে আর কার্ডের উপর উল্লেখিত ১৬-সংখ্যার বিবরণ এবং কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ মনে রাখতে হবে না। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) নির্দেশ অনুসারে, আপনি এখন ‘টোকেনাইজেশন’ নামে পরিচিত একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত কনট্যাক্টলেস লেনদেন করতে পারেন।
টোকেনাইজ়েশন হল এমন একটি পদ্ধতি যাতে একটি টোকেনের মধ্যে কার্ডের তথ্য চলে যায়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের ব্যক্তিগত তথ্যের সঙ্গে কোনওরকম আপস না করে কেনাকাটি করা যাবে৷ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের টোকেনাইজ়েশন নীতি এই বিষয়টিকেই নিশ্চিত করে। কন্ট্যাক্টলেস ব্যাঙ্কিং পরিষেবার জন্য কোনও সার্ভারে আর কার্ডের সিভিভি নম্বরের প্রয়োজন হবে না। ফলে পুরো নেটওয়ার্ক আরও বেশি নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে।
যদিও টোকেনাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে ডেটা চুরি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যায় না, তবে সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়ে দেয়। টোকেনাইজেশন ডিভাইসগুলির মাধ্যমে কেনাকাটিকে আরও সহজ এবং নিরাপদ করে তোলে। সুরক্ষিত ইন-স্টোর রিটেল পিওএস অ্যাক্টিভিটি থেকে শুরু করে অনলাইন পেমেন্ট, নিয়মিত ই-কমার্স থেকে অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট… সবক্ষেত্রেই আর্থিক লেনদেনকে আরও নিরাপদ করে তোলে টোকেনাইজ়েশন।
টোকেনাইজড কার্ড ব্যবহারের জন্য, ব্যাঙ্কগুলির থেকে একটি পৃথক ইন্টারফেস বা ব্যাঙ্কের নিজস্ব ওয়েবসাইট দেওয়া হবে। কার্ডের ব্যবহারকারীরাও যে কোনও সময়ে ওই টোকেন মুছে ফেলতে পারবেন।
টোকেনাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা যত খুশি তত কার্ড টোকেনাইজ করতে পারেন। শুধুমাত্র ডমেস্টিক কার্ডগুলির ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। এখনও পর্যন্ত, আন্তর্জাতিক কার্ডগুলির ক্ষেত্রে টোকেনাইজ়েশন প্রযোজ্য নয়।
শপিং ওয়েবসাইটের চেক-আউট পেজে অনলাইনে পণ্য কেনার সময় ব্যবহারকারীদের অবশ্যই তাদের কার্ডের তথ্য জমা দিতে হবে এবং টোকেনাইজেশনের অপশনটি বেছে নিতে হবে। যখন আপনি একই জায়গায় বার বার টাকা দেবেন, তখন টোকেন ব্যবহারের ফলে আপনার সবথেকে কম তথ্য দিতে হবে।