কলকাতা: স্কুল-কলেজের গণ্ডি পার হলেই হাতে চাই চাকরি। টানতে হবে সংসারের ঘানি। কিন্তু, কোথায় চাকরি? নানা প্রান্তে শুধুই দুর্নীতির অভিযোগ, কোথাও আবার স্বজনপোষণ, কোথাও আবার ঘুষের বিনিময়ে চাকরির অভিযোগ। চাকরির ইঁদুর দৌড়ে ঝাঁপ দিয়ে কার্যত যেন হাঁপিয়ে উঠছে দেশের যুব সমাজের একটা বড় অংশ। বাধ্য হয়ে অনেকেই বর্তমানে অল্প বেতনের চাকরিতে যোগ দিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু, এত অল্প টাকায় শেষ বয়সটা চলবে কেমন করে? সেই প্রশ্ন ভাবিয়ে তুলছে সকলকেই। কিন্তু, বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন চাকরি জীবনের শুরুতে আপনার স্যালারি যদি ২০ হাজার টাকাও হয় মাত্র কয়েক দশকেই আপনি হতে পারেন কোটিপতি। ভাবছেন নিশ্চয় এ কী করে সম্ভব! তবে এর জন্য আপনাকে নাম লিখিয়ে ফেলতে হবে কোনও পেনশন তহবিলে।
বর্তমান সময়ে শেয়ার বাজারের পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ডের দিকে ঝুঁকছেন একটা বড় অংশের মানুষ। চক্রবৃদ্ধি সুদকে হাতিয়ার করেই আশা করছে বাড়তি উপার্জনের। এককালীন মোটা টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। আবার SIP এর মাধ্যমে ধাপে ধাপে বিনিয়োগ করতে পারেন। মাসে মাসে দিতে পারেন টাকা। যদি আমরা এখনও পর্যন্ত পরিসংখ্যান দেখি তবে দেখা যাবে মিউচুয়াল ফান্ডগুলি গড়ে ১২-১৫% রিটার্ন দিচ্ছে। এই হিসাব মাথায় রেখে আপনার বেতন যদি ২০ হাজার টাকা হয় তবে আপনি মাসে ৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন।
ধরা যাক আপনি ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে যে কোনও বয়সে বিনিয়োগ শুরু করলেন। সাধারণত মানুষ ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে অবসর নিয়ে থাকে। তাই এখন থেকে আপনি যদি মাসে ৪০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন এবং গড়ে ১৫ শতাংশ রিটার্ন পান, তাহলে আপনি আগামী ২৫ বছরে ১,৩১,৩৬,২৯৫ টাকার মালিক হয়ে যাবেন। তবে আপনি যদি আগে অবসর নিতে চান তবে আপনাকে সেই অনুযায়ী আপনার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করতে হবে। এ জন্য আপনি একজন আর্থিক বিশেষজ্ঞেরও পরামর্শ নিতে পারেন। বাড়তে পারেন বিনিয়োগের মাত্রা। তাহলেই দ্রুত হাতে আসবে মোটা লাভ। সে ক্ষেত্রে ২৫ বছরের কম সময়েও আপনি কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন।
বিঃ দ্রঃ – উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য।