নয়া দিল্লি: একদিকে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়, অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দামে ছ্যাঁকা লাগছে সাধারণ মানুষের। এবছর দেশে বর্ষা (Monsoon) ঢুকেছে দেরিতে। ফলে তৈলবীজ বপণে দেরি হতে পারে। আর তার প্রভাব পড়তে পারে তেলের বাজারে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে বিশেষ পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার থেকে পরিশোধিত সয়াবিন (Soyabean oil) ও সূর্যমুখী (Sunflower oil) তেলের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই আগামী দিনে দেশীয় বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ বাড়াতে সহায়তা করবে। ফলে ভোজ্যতেলের দাম কমতে পারে।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্ক ১৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ করেছে সরকার। সাধারণত ‘অপরিশোধিত’ সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেল ভারতে আমদানি করা হয়। তারপর তা অভ্যন্তরীণভাবে পরিশোধিত হয়। তা সত্ত্বেও পরিশোধিত সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে সরকার।
সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্ক দাঁড়াল
আমদানি শুল্ক কমানোয় এখন পরিশোধিত ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক ১৩.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এর মধ্যে সামাজিক কল্যাণের জন্য ধার্য করা কর (সেস)রয়েছে। একইসঙ্গে সব ধরনের অপরিশোধিত ভোজ্য তেলের উপর কার্যকর আমদানি শুল্ক হবে ৫.৫ শতাংশ।
সরকারের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তথা ভারতের সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিচালক বি.ভি.মেহতা জানান, সরকারের এই পদক্ষেপ বাজারের উপর সাময়িক প্রভাব ফেলবে। তবে এটি বিদেশ থেকে পরিশোধিত তেল আমদানিকে উত্সাহিত করবে, যা দেশীয় উৎপাদকদের ক্ষতি করবে।
সরকার দাম নিয়ন্ত্রণ করতে চায়
বি.ভি মেহতা এক বিবৃতিতে জানান, সরকারের আমদানি শুল্ক কমানোর প্রধান কারণ হল, ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেলের আমদানি শুল্কের মধ্যে খুব সামান্য পার্থক্য থাকলেও পরিশোধিত তেলের আমদানি কম হবে বলে মনে করছেন তিনি।
বর্তমানে দেশে পরিশোধিত সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করা হয় না। তবু সরকারের এই পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে সাময়িকভাবে বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে। যাই হোক, এ বছর বর্ষা ভারতে দেরিতে ঢুকেছে। যার ফলে তৈলবীজ বপনও দেরিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকারের এই পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।