নয়া দিল্লি: চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা করে নিজের মতো রোজগার করতে কে নমা চায়। বলা যেতে পারে এটা অনেকের কাছেই স্বপ্ন। তবে সেই স্বপ্ন সত্য়ি করা নেহাত সহজ কাজ নয়। টাকার অভাবে, বিনিয়োগ কীভাবে করবেন, সেটাই ভেবে পান না অনেকে। তবে এখানে যে ব্যবসার কথা বলা হচ্ছে, তাতে বিনিয়োগ করতে হবে সামান্যই। আর লাভ হবে অনেক বেশি।
কাগজের ন্যাপকিন তৈরির ব্যবসা। এই ন্যাপকিন স্বাস্থ্যসম্মত। মুখ পরিষ্কারের জন্য, টয়লেট পেপার হিসেবে বা টিস্যু পেপার হিসেবে এগুলি ব্যবহার করে থাকেন সাধারণ মানুষ। বাড়ি, বাথরুম, গাড়ি থেকে রান্নাঘর- সর্বত্রই কাজে লাগে এগুলি। বাদ যায় না হোটেল-রেস্তোরাঁও।
মাত্র একবার বিনিয়োগ করেই এই পেপার ন্যাপকিনের ব্যবসা করতে পারেন আপনি। এতে মানুষের কাজে লাগে, এমন একটা জিনিস থেকেই লাভ করা সম্ভব। সাধারণত এই ব্যবসার জন্য কাঁচামাল, বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। তবে খাদি ও ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশনের একটি উদ্যোগে যে কেউ শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। এছাড়া পিএম মুদ্রা লোনের সাহায্যেও আপনি শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। প্রধানমন্ত্রী যোজনায় পাওয়া যেতে পারে ঋণ। পাওয়া যেতে পারে ১০ লক্ষ টাকা, যা ব্যবসা শুরু করার জন্য যথেষ্ট। আর এই স্কিমে ঋণ নেওয়া খুবই সহজ।
বছরে কত ন্যাপকিন উৎপাদন করছেন, তার ওপর নির্ভর করবে লাভের অঙ্ক। মোটামুটিভাবে বলা যায়, প্রথম বছরে ৩.৬৬ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় বছরে ৪.১৯ লক্ষ টাকা, তৃতীয় বছরে ৫ লক্ষ টাকা, চতুর্থ বছরে ৫.৭৭ লক্ষ টাকা ও পঞ্চম বছরে লাভ হতে পারে ৬.৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।