বৈশ্বিক মন্দা চলছে। এই পরিস্থিতিতে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে একের পর এক নামজাদা সংস্থা। উপর তলা থেকে নিচু তলা, প্রায় সকল স্তরের কর্মীরাই এর ফলে প্রভাবিত হয়েছেন। এই মুহূর্তে কীভাবে সংসার চালাবেন তার চিন্তাতেই কপালে পড়ছে ভাঁজ। এই আবহে অন্য কোনও সংস্থার নিয়োগের অপেক্ষায় না থেকে বাড়িতে বসেই স্ব-নির্ভর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন যে কেউ। এরকমই স্বল্প পুঁজিতে বেশি লাভের ব্যবসার আইডিয়া রইল আপনাদের জন্য।
এই ব্যবসাটি আপনি যেকোনও সময় শুরু করতে পারেন। সবথেকে বড় বিষয় হল এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে এমন কিছু খরচও করতে হবে না। এছাড়াও বাড়তি আয়ের জন্য চাকরির পাশাপাশি এই ব্যবসা করা যেতে পারে। এই ব্যবসা হল মোমবাতি তৈরির। এটি এমনই একটি ব্যবসা যেখানে কম খরচে বেশি লাভ করা যায়। মোমবাতি তৈরির ব্যবসার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল আপনি এটি ঘরে বসে শুরু করতে পারেন। একই সঙ্গে বড় পরিসরে এ কাজ করার জন্য একটি কারখানাও গড়ে তোলা যেতে পারে। তবে যেকোনও ব্যবসা শুরু করার আগে সে সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন। আসুন দেখি মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করার জন্য কী কী প্রয়োজন এবং কীভাবে আপনি এই ব্যবসা থেকে ভাল আয় করতে পারেন।
কীভাবে মোমবাতি তৈরি করা হয়?
মোমবাতি তৈরি করতে মোমের প্রয়োজন হয়। এটি প্রথমে ২৯০ ডিগ্রি থেকে ৩৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করা হয়। এর পরে মোমটি ছাঁচে ঢেলে দেওয়া হয় এবং ঠাণ্ডা করার পরে একটি ড্রিল মেশিন বা সুই দিয়ে থ্রেডটি ঢোকানো হয়। তারপর তার উপর গরম মোম ঢেলে দেওয়া হয়। তারপর প্যাকিং করা হয়। ছোট ঘর থেকেও এই কাজ শুরু করতে পারেন। তবে মোম গলানোর জন্য ভালো জায়গা থাকা জরুরি।
কত টাকা বিনিয়োগ?
এই ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে খুব কম টাকা খরচ করতে হবে। আপনি মাত্র ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এটি শুরু করতে পারেন। ভারতে মোমবাতির ব্যবসা ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে।
আয় কত হবে?
এই ব্যবসার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি শুরু করতে কম খরচ হয়, তবে আয় ভালো হয়। দীপাবলি, জন্মদিন থেকে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, সবক্ষেত্রে মোমবাতি বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। বাজারে এগুলোর ভাল চাহিদা রয়েছে এবং তাই ভাল আয়ের সুযোগও রয়েছে।