লন্ডন: ভারতকে বড় সম্মান এনে দিলেন ভারতী এন্টারপ্রাইজের প্রতিষ্ঠাতা তথা চেয়ারপার্সন সুনীল ভারতী মিত্তল। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি), ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস তাঁকে সাম্মানিক নাইটহুড প্রদান করলেন। রাজা চার্লস সিংহাসনে বসার পর থেকে সুনীল মিত্তলই প্রথম ভারতীয় হিসেবে তাঁর কাছ থেকে নাইটহুড পেলেন। তাঁকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডারের নাইট কমান্ডার উপাধিতে ভূষিত করা হল। এটি, ব্রিটেনের অন্যতম সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। বিদেশি নাগরিকদের সম্মান জানাতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আগে, ২০০৭ সালে সুনীল ভারতী মিত্তলকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, পদ্মভূষণে ভূষিত করা হয়েছিল। ভারতের জি২০ সভাপতিত্বের সময়, আফ্রিকান অর্থনৈতিক সংহতি বিষয়ক বি২০ ইন্ডিয়া অ্যাকশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এর পাশাপাশি, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ও ইউনেস্কো ব্রডব্যান্ড কমিশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের কমিশনার পদে আছেন তিনি।
নাইট সম্মান প্রাপ্তির পর, সুনীল মিত্তল বলেছেন, “মহামহিম, রাজা চার্লসের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি পেয়ে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। ব্রিটেন এবং ভারতের মধ্যে এক ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। এখন সেই সম্পর্ক, সহযোগিতার এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলেছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত ও ব্রিটেনের মতো দুই মহান দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি। ব্রিটেন সরকারের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকে লগ্নিকারীদের যেভাবে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে, ব্যবসায়িক চাহিদার প্রতি যেভাবে সরকার মনোযোগ দিচ্ছে, তাতে ব্রিচেন এখন বিনিয়োগের এক আকর্ষণীয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
কোন বিশেষ ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণামূলক এবং উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ব্রিটেনের রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে নাইটহুড দেওয়া হয়। এই সম্মান প্রাপ্তির পর ব্রিটিশ নাগরিকদের স্যার বা ডেম বলে উল্লেখ করা হয়। তবে, ব্রিটিশ নাগরিক নন যাঁরা, তাঁরা নাইটহুড পেলেও, এই দুই পদবি ব্যবহার করতে পারেন না। বদলে, তাঁদের নামের পর কেবিই (পুরুষদের ক্ষেত্রে) বা ডিবিই (মহিলাদের ক্ষেত্রে) যোগ করা হয়। ভারতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিই নাইট উপাধি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন, শিল্পপতি রতন টাটা (২০০৯), সেতারবাদক রবি শঙ্কর (২০০১) শিল্পপতি জামশেদ ইরানি (১৯৯৭) প্রমুখ। ব্রিটিশ ভারতে এই উপাধি দেওয়া হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও, তবে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধিত্যাগ করেছিলেন।